ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২১
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বর্তমান সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। কাজেই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বিদেশি সাহায্য না আসলে, আমরা নিজস্ব অর্থেও তা মোকাবেলা করতে পারব। কারণ, বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল নয়।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২১: বাংলাদেশের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষিকে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। অগ্রাধিকারভিত্তিতে লবণাক্তসহিষ্ণু, খরাসহিষ্ণু, জলমগ্নতাসহনশীল, উচ্চ তাপমাত্রাসহনশীলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, আগে আমাদের কথা কেউ শুনতো না, কারণ গরীবের কথা কেউ শুনে না। কিন্তু আজ বাংলাদেশ পৃথিবীতে মর্যাদাশীল জাতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদা ও সম্মানের দিক দিয়ে পৃথিবীতে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। এখন সবাই আমাদের কথা শুনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ক্ষতি ও প্রত্যাশার কথা অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে ও উচ্চস্বরে তুলে ধরবেন।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, জনকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।