Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জুলাই ২০১৬

গোদাগাড়ীতে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধৈঞ্চা চাষ বৃদ্ধিও প্রনোদনা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস


প্রকাশন তারিখ : 2016-07-03

স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ধৈঞ্চা চাষের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রনোদনা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস রাজাবাড়ী ব্লকের বিজয়নগর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চল রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ গত ৩০ জুন/২০১৬ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ী কর্তৃক আয়োজিত খরিপ-১, ২০১৬-১৭ মৌসুমে মাটির অধিদপ্তর রাজশাহীর অতিরিক্ত উপপরিচালক পিপি কৃষিবিদ মো. মোজদার হোসেন, গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. তৌফিকরি রহমান এবং দেওপাড়া ইউনিয়নের ইউ পি সদস্য মো. আশাদুল হক।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ দেব দুলাল ঢালী।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. তৌফিকরি রহমান। তিনি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবুজ সার হিসাবে বেশী বেশী ধৈঞ্চা চাষ করার গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উপস্থিত সকল চাষীকে রাসায়নিক সারের চাহিদা কমাতে এবং পরিবেশ ভাল রাখতে অবশ্যই আগামী বছরে ১বিঘা জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করার উদাত্ব আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মাটির প্রান জৈব পদার্থ বরেন্দ্র অঞ্চলে খুব কম তাই মাটিকে সুরক্ষা করার জন্য ধৈঞ্চা চাষের কোন বিকল্প নাই। মাটি সুরক্ষিত হলে অন্যান্য রাসায়নিক সার জমিতে কম লাগবে ফসল ভাল কবে এবং কৃষকও  লাভবান হবে। সবুজ সার জমিতে চাষ করলে রোগ পোকামাকড় আক্রমন কম হবে মাটির পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল কৃষককে জমির স্বাস্থ্য রক্ষা করে ফসল উৎপাদনসহ দেশকে উন্নয়নের অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে আহবান জানান।

সভাপতি মহোদয় বলেন, জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করলে বীজ ও জ্বালানী দুটোই পাওয়া যাবে এবং পাতা পড়ে সবুজ সারের কাজ করবে মাটি সুরক্ষা থাকবে। ধৈঞ্চা চাষ করলে ফসলের উৎপাদন খরচ কমবে এবং কৃষক লাভবান হবে। পরিশেষে তিনি ধৈঞ্চা চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ীকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন, ইউ পি সদস্য মো. আশাদূল হক, অত্র ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. হাবিবুর রহমান, কৃষক মো. সার্বির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন দেওপাড়া ইউনিয়নের উপ- সহকারী কৃষি অফিসার মো. শহিদুল আলম ও অতনু সরকার, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কৃষক কৃষানী মিলে প্রায় ৩২০ জন।