গত দুই দশকে ট্রানজেনিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে। জেনিটিক্যাল পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদিত জিএম ফসলের বিশ্বব্যাপি গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ২৮টি দেশের ১৮ মিলিয়ন কৃষকের মাধ্যমে ১৮১.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে জিএম ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। ১২ মে ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর সম্মেলন কক্ষে আইসা (ISAAA), বিএআরআই, বিএআরসি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত Global Commercialization of Biotech Crops and Biotech Crop Highlights in 2015 সম্পর্কিত দিনব্যাপি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের প্রজনন ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অজৈবিক প্রভাব মোকাবেলা করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কম খরচে রোগ বালাইমুক্ত ফসলের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বিভিন্ন ফসল যেমন- ক্যানোলা এবং সয়াবিন; পোকামাকড় প্রতিরোধী বিটি কটন, বিটি ভূট্টা এবং বিটি বেগুন; রোগ প্রতিরোধী আলু; লবণাক্ততা ও বন্যা সহিষ্ণু ধান, বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস প্রভৃতি ফসল গবেষণায় জৈব প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৯টি জেলায় ১১০জন কৃষক কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র বিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভজনকভাবে উন্নতমানের ফসল সংগ্রহ করেন। সরকার নিয়মিতভাবে বিশেষজ্ঞ দ্বারা বিটি বেগুন ক্ষেতের কার্যকারিতা নজরদারী করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল ও আইসার গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর উৎ. Dr. Randy A. Hautea. অনুষ্ঠানে আইসা (ISAAA), বিএআরআই, বিএআরসি, ব্রি, বিনা, ডিএই, বিজেআরআই, বিএডিসি, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।