Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ অক্টোবর ২০১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরে আশ্বিনা আম অসময়ের একটি লাভজনাক সম্ভাবনাময় ফল


প্রকাশন তারিখ : 2017-10-25

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামে কৃষক আবুল কালাম আজাদ এর বাগানে নাবী জাতের আশ্বিনা আম পরিদর্শন ও কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো: মিজানুর রহমান। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএই’র সাবেক মহাপরিচালক এবং এপিএ পুলের সম্মানিত সদস্য ও বছরব্যাপি ফল উৎপাদন প্রকল্পের উপদেষ্টা কৃষিবিদ এম এনামুল হক। বিশেষ অতিথির মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন ডিএই চাঁপাইনবাগঞ্জের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: মুঞ্জুরুল হুদা, প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম ও রাজশাহী কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লা হিল কাফি। সভাপতিত্ব করেন কল্যানপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: সাইফুর রহমান ।


বাগান পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ডিএই হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক কৃষক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, লেট ভ্যারাইটির আশ্বিনা আম অসময়ে একটি লাভজনক সম্ভাবনাময় ফল হিসেবে এর চাষ সম্প্রসারণ করতে পারলে চাঁপাইনবাবঞ্জের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারবে। তিনি এ জাতের আম সম্প্রসারণে কল্যানপুর হর্টিকালচার সেন্টারকে সময়োপযোগী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।


আম চাষি আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার আশ্বিনা আম বাগানে অনেক গাছের মধ্যে মাত্র একটি গাছে প্রায় ০৩ বছর হতে আশ্বিনা আম শেষ হওয়ার ২ মাস পরে আম গাছে মুকুল, আম ধরা ও আম পাকা শুরু হয়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ জাতের আমের বাজারমুল্য প্রায় ২৫/৩০ গুন পাওয়া যায় বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।


সম্মানিত বিশেষ অতিথি ডিএই’র সাবেক মহাপরিচালক বলেন অসময়ে আম ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। অসময়ের ফলে একদিকে যেমন পুষ্টি গুন বেশী থাকে, তেমনি অন্যদিকে বাজার মুল্য বেশী পাওয়া যায়। কাজেই মান সম্মত চারা উৎপাদন করে এর চাষ বাড়াতে কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসার উদাত্ব আহ্বান জানান।
 

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ ২০০ জন আম চাষি উপস্থিত ছিলেন।