খামারবাড়ির আ. কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিল্কী অডিটরিয়ামে ২৫ মে ২০১৬ তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কৌশল পর্যালোচনা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০১৫-১৬ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত পন্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। ডিএই এর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মার্কেট লিংকেজ তৈরী করে পন্য বাজারজাতকরন ও ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এখন গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। আমাদেরকে কৃষিতে নতুন বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসতে হবে। যাতে কৃষক খামার থেকে উঠে না আসে। উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করতে হবে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা) মো. মনজুরুল আনোয়ার বলেন, মাঠে কোনো নতুন ফসলের বা জাতের প্রদর্শনী দিলে সাইনবোর্ডে জাতের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ থাকলে সহজে কৃষকগণ জানতে পারবে। কৃষকদেরকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষনের বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে। ডিএই এর বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান বলেন, বীজ সংরক্ষণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নারী কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। গবেষণা, সম্প্রসারণ ও মনিটরিং কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টদের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। ব্লক লেবেলে উন্নয়ন পরিকল্পনায় বীজের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্রপস উইং এর পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রতিনিধি বিশ্বাস কুতুব উদ্দিন; প্রদর্শনীভুক্ত পাবনা আটগরিয়ার কৃষক বিপ্লব কুমার সেন। জেলা পর্যায়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলার উপপিরচালক আ. ক. ম শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন, চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ছারওয়ার জাহান। উল্লেখ্য প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৩ হতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। দেশের ৬৪টি জেলার ৪৮৯টি উপজেলা ও ৯টি মেট্রো থানায় প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।