Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ নভেম্বর ২০১৭

রাজশাহীর পবায় সংরক্ষণশীল কৃষির আওতায় পাট রিলে রোপা আমন চাষ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ


প্রকাশন তারিখ : 2017-11-05

রাজশাহী পবার বামন শিখর গ্রামে রাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) রাজশাহী কর্তৃক আয়োজিত সংরক্ষণশীল কৃষি ব্যবস্থাপনায় পাট+রিলে রোপা আমন চাষবাদ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ব্রি প্রধান ড.মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালত (গবেষনা) ব্রি ড.তমাল লতা আদিত্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মঞ্জুরুল হক ও উপজেলা কৃষি অফিসার পবা কৃষিবিদ একেএম মঞ্জুরে মাওলা।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহোদয় বলেন, পাটের জমিতে রিলে ফসল হিসাবে রোপা আমন ব্রি ধান-৭১ আবাদ করা হয়েছে। পাট কাটার ১৫ দিন আগে কাদা অবস্থায় ৭১ এর বীজ পাটের জমিতে ছিটিয়ে বুনা হয়। পাট কাটার পর জমিতে আগাছা নাশক ও সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা হয়। বীজ বপনের মাত্র ১০৬ দিন পর ধান কর্তন করা হচ্ছে।এর পর ঐ জমিতে যে কোন রবি ফসল চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। তাছাড়াও ৭১ জাতের চাল মাঝারী চিকন এবং খেতেও সুস্বাদু। ব্রিধান ৩৯ এর চেয়ে ফলন ৪-৫মন বেশীএবং চাল মনে ২-৩ কেজি বেশী হয়। ব্রিধান-৭১ জাতটি খরা সহনশীল তাই বরেদ্র অঞ্চলের জন্য উপযোগী। তিনি উপস্থিত সকলকে আগামীতে ১০ কাঠা করে ব্রিধান-৭১ জাতটি আবাদ করার অনুরোধ জানান।

সভাপতি মহোদয় বলেন ব্যিধান-৭১ জাতটির শস্য কর্তন করে বিঘা প্রতি-১৯ মন পাওয়া গেল তারই পাশে ব্রিধান-৩৯ এর ফলন ১৪ মন পাওয়া গেল। পাটের জমিতে চাষ ছাড়া ধান বীজ বপন করায় খরচ অনেক কম হয়েছে। ফলনও তুলনামুলুক ভাবে ভাল। ধান গাছ লম্বা তাই খড়ের দাম বেশী পাওয়া যাবে। তিনি লাভ জনক এই জাতটি আগামীতে এলাকায় ব্যাপক আবাদ করার উদাত্ত্ব আহ্বান জানান।


অনুষ্ঠানে অন্যন্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মঞ্জুরুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার পবা কৃষিবিদ একেএম মঞ্জুরে মাওলা, অত্র ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ রেজাউল ইসলাম দেওয়ান। মাঠ দিবসে সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কৃষক-কৃষানী মিলে প্রায় ৪৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।  

 

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের(ব্রি) রাজশাহীর উর্ধতন বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রধান ইনভেষ্টিগেটর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন।