কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিট এর আয়োজনে এবং ইউএসএইড ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) সহযোগিতায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সেচ ভবনে ‘অরিয়েন্টিং এগ্রিকালচার টুওয়ার্ড ইমপ্রুভড নিউট্রিশন অ্যান্ড ওমেনস এম্পাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কার্ডের মাধ্যমে কৃষকেরা যে কৃষি ঋণ পেয়ে থাকেন, সেখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ খুবই কম। তাই কৃষি ঋণ প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকার নিশ্চিত এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। এই দুটা জায়গায় আমাদের নতুন ভাবে ভাবতে হবে। এসময় তিনি উল্লেখ করেন আমাদের মেয়েদের নামে জায়গা-জমির দলিলের সংখ্যা খুবই কম। সিলেট বিভাগের মেয়েরা অনেকাংশেই পিছিয়ে রয়েছেন উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে মেয়েরা অধিকার আদায়ে সচেতন নয়। তবে এদিক দিয়ে বরিশালের মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। যেখানে বরিশালের মেয়েরা ৩১ ভাগ এগিয়ে সেখানে সিলেটের মেয়েরা ১১ ভাগে রয়েছে। নারীদের অধিকার ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষা মেয়েদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করার তাগিদও দেন। পুষ্টির উপাদান বাড়াতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কৃষির যে বৈচিত্রময় চাষাবাদ রয়েছে সেগুলোকে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এক সময়ে আমরা বলতাম দুধে ভাতে বাঙালি। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। কিন্তু পুষ্টির অন্যতম উপাদান দুধের যোগান বাড়াতে পারিনি। আমরা যে ক্যালরি সঞ্চয় করি তার বেশিরভাগই আছে ধান থেকে। তবে ফল, সবজিসহ অন্যান্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে নারীদের অনেক বেশি সচেতনতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিট এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিটি এর গবেষণা পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. তৌফিকুল আলম। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ এন্ড স্ট্রেটিজি সাপোর্ট প্রোগ্রাম (পিআরএসএসপি) ও আইএফপিআরআই’র চীফ অব পার্টি ড. আকতার আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো.হামিদুর রহমান; ইউএসএইড-বাংলাদেশ মিশন ডাইরেক্টর জ্যানিনা জেরুজেলসকি ও হেলেন কিলার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মেরেডিথ জেকসন-ডি’গ্রাফেনরিড।