কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭৩ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগাতে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গাব্দ ১৪২১ ও ১৪২২ এর পুরস্কার একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ জুলাই ২০১৭ রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষি খাতে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় এ পুরস্কার প্রদান করেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ ও ১৪২২ প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পূনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশকে কৃষিতে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহ প্রদানের জন্য জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন বর্তমান সরকার তা অনুসরণ করে সে অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং সুসংগঠিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করি। ফলে মাত্র ৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। বাংলাদেশকে আমরা ২০০১ সনে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রেখে দায়িত্ব হস্তান্তর করি তবে ২ বছরের মধ্যেই সে বাংলাদেশ আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়। তিনি বলেন, আমরা চাই ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর অন্যেরা চায় ক্ষুধায় জর্জরিত, নিপীড়িত ও খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে যেখানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন; ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ৩ কোটি ৮৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আজ আমরা আবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষিতে গৃহীত উন্নয়ন পদক্ষেপ ও সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড চালু করি। ১০ টাকায় কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সরকারি প্রণোদনাসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছি। আমরা খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩০% ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ শুরু করি। বর্তমানে এ ভর্তুকি ৫০% এ উন্নীত করা হয়েছে এবং হাওড় এলাকার জন্য তা ৭০% করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে চাষাবাদ পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এবং কৃষিজ উৎপাদন ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডাল, তেল, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনে ৪% সুদে বিশেষ কৃষিঋণ চালু করা হয়েছে। কীটনাশকের ব্যবহারকে কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মাটি, জলবায়ু ও এলাকা উপযোগী ফসল নির্বাচন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘ক্রপ জোনিং ম্যাপ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি করে ২-৩ ফসলের পরিবর্তে বছরে ক্ষেত্রবিশেষ সর্বোচ্চ ৪ ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষিবিদ ও মাঠকর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও আমরা কাজ করছি। বিসিএস কৃষি ক্যাডারের ১১৬৪টি পদসৃষ্টিসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২৫৭টি পদ সৃষ্টিসহ প্রধান কার্যালয় ও ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। জৈব সার ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ জন্য জাতীয় জৈব কৃষিনীতি ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। ই-কৃষি প্রবর্তনে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কৃষক এখন মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে কৃষি তথ্য সেবা পাচ্ছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্র ও কৃষি তথ্য ও যোগযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকগণ ই-তথ্য সেবা পাচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সরকার কৃষিকে জীবিকা নির্বাহের স্তর থেকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক পেশায় উন্নীত করার মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনসহ গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক সময় বাংলাদেশের অনেক মানুষ দুইবেলা খাবার পেত না। আজ দেশের কোথাও কেউ অনাহারে থাকে না। সম্প্রতি হাওড় এলাকায় বন্যা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের উন্নয়ন থেমে নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে কৃষি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শস্য বহুমুখীকরণ, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি, ঋতুভিত্তিক ফলের চাষ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি, ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ, প্রাণীজ আমিষ চাহিদা পূরণে ডিম, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের কৃষি তথা গ্রামের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পদকপ্রাপ্ত সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেন শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের ফলে শুধু কৃষিই নয় সর্বক্ষেত্রেই উন্নয়ন আজ সর্বজনবিদিত। পরিবেশ ঝুঁকিকে বিবেচনায় রেখেই সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সকল কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন এবং কৃষি উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করার জন্য ১৯৭৩ সনে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেছিলেন। তাঁর এ সিদ্ধান্তটি ছিল বাস্তবসম্মত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী। যার ফলে দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত এবং কৃষিতে সমৃদ্ধ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। কৃষি উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কৃষির উন্নতির জন্য বহুমুখী বাস্তব কর্মসূচি গ্রহণ, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা, কৃষি বিষয়ক গবেষণা কাজে উৎসাহ প্রদান এবং কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রণোদনা প্রদান, শস্যবিন্যাসের উন্নতকরণ, ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি, বিভিন্ন প্রতিকূলতা সহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রোগবালাই দমন, দক্ষিণাঞ্চলে উপযোগী ফসলের আবাদ বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের কারণে আমরা খোরপোষের কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষির দিকে যাত্রা করেছি’। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা, অপুষ্টি, দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, কৃষি উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি আরো উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত এ পুরস্কার প্রদানকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করা হয়। এ কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় এবারই প্রথম এ পুরস্কার প্রদান করা হলো। সরকারের এ শুভ প্রচেষ্টায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ ও ১৪২২’ বিজয়ীরা অনুপ্রাণিত হবেন এবং অন্যরাও উৎসাহিত হবেন বলে তিনি প্রত্যাশা রাখেন।
১৪২১ বঙ্গাব্দে স্বর্ণপদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী; পাবনার আটঘরিয়ার জনাব মোঃ আব্দুল খালেক; নীলফামারীর ডোমারের অন্নপূর্ণা এগ্রো সার্ভিস; পাবনার ঈশ্বরদীর মোছাঃ বেলী বেগম।
১৪২১ বঙ্গাব্দে রৌপ্যপদক বিজয়ীরা হচ্ছেন- রাজবাড়ী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ রকিব উদ্দিন; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গাউছুল আজম বাবা ভান্ডারী বহুমুখী খামার লিমিটেড; কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জনাব মোঃ লাল মিয়া; ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জনাব মোঃ আজিম উদ্দিন; টাঙ্গাইল সদরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ ওসমান গনি; রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার বেগম আদরী মার্ডি; পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জনাব মোঃ আব্দুল বারী; কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের জনাব মোঃ আবুল কাশেম; খাগড়াছড়ি সদরের জনাব সুজন চাকমা।
১৪২১ বঙ্গাব্দে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ীরা হচ্ছেন- রাজশাহীর তানোরের জনাব নূর মোহাম্মদ; সিলেটের জনাব আব্দুল হাই আজাদ বাবলা; খুলনার ডুমুরিয়ার জনাব সুরেশ্বর মল্লিক; যশোর সদরের জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ সরদার; কুমিল্লার দাউদকান্দির জনাব মোঃ এম এ মতিন (মতিন সৈকত); মেহেরপুর সদরের মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদাউস; নরসিংদীর রায়পুরার জনাব রিয়াজুল ইসলাম সরকার; ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম; পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জনাব মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জনাব মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা; পাবনার ঈশ্বরদীর বেগম মাহফুজা খানম সীমা; খুলনার বটিয়াঘাটার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব সরদার আব্দুল মান্নান; গাইবান্ধার সাঘাটার জনাব মোঃ আমির হোসেন; নওগাঁ সদরের জনাব মোঃ সালাহ্ উদ্দিন উজ্জবল; জয়পুরহাট সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ সেরাজুল ইসলাম (সাজু), জামালপুর সদরের জনাব মোঃ ইজাদুর রহমান; খুলনার ডুমুরিয়ার জনাব অশোক বৈরাগী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার জনাব মোঃ শাহিনুর রহমান।
১৪২২ বঙ্গাব্দে স্বর্ণপদকপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; সিলেট সদরের জনাব মোঃ আব্দুল বাছিত সেলিম; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া; রংপুর সদরের কৃষিবিদ নাজমুন নাহার।
১৪২২ বঙ্গাব্দে রৌপ্যপদক বিজয়ীরা হচ্ছেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সালাম; ঝিনাইদহ সদরের বেগম ফারজানা ববি বিশ্বাস; নাটোর সদরের আলহাজ্ব মোঃ আলফাজুল আলম; যশোরের জনাব শেখ আফিল উদ্দিন এমপি; চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার জাকির এন্ড ব্রাদার্স; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের জানাব মাছুদুল হক চৌধুরী; চট্টগ্রামের রাউজানের জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষিবিদ ড. মোঃ শরফ উদ্দিন; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মোঃ নাজিরুল ইসলাম।
১৪২২ বঙ্গাব্দে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ীরা হচ্ছেন- কুমিল্লার হোমনার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জুলফিকার আলী; দিনাজপুরের পার্বতীপুরের গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে); সাতক্ষীরার কলারোয়ার জনাব মোঃ ইউনুস আলী; কিশোরগঞ্জের জনাব সৈয়দ নূরুল আউয়াল তারা মিঞা; কৃমিল্লার নাঙ্গলকোটের জনাব জালাল আহম্মদ; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের জনাব মোঃ হেলাল উদ্দীন; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কার্ড মহিলা সমিতি (সেন্টার ফর এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট); সাতক্ষীরা সদরের বেগম শাহানা সুলতানা; সিলেটের বিশ্বনাথের মোছাঃ রুবা খানম; গাজীপুরের শ্রীপুরের জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন; পাবনার ঈশ্বরদীর জনাব এস এম রবিউল ইসলাম; সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেগম এলিজা খান; কৃষি তথ্য সার্ভিসের জনাব মোঃ আবু সায়েম; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর; ঢাকার নবাবগঞ্জের বেগম মায়া রাণী বাউল; বান্দরবান সদরের তরঙ্গ; চট্টগ্রামের পটিয়ার জনাব মোঃ হারুন; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপপরিচালক জনাব বিভূতি ভূষণ সরকার।