রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি প্রাঙ্গনে ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচার প্রোডাকটিভিটি প্রজেক্ট ও সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রজেক্টের অর্থায়নে ৫ দিনব্যাপী রংপুর জেলা কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়। মেলার শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব শরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু। উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, বিএডিসির যুগ্ন পরিচালক কৃষিবিদ মো.আসাদুর রহমান, রংপুর তাজহাট কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকারের কৃষিতে সাফল্য ও উন্নয়ন দেশে-বিদেশে সকলের নজর কেড়েছে। মেয়র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধার প্রশংসা করে বলেন তিনি বর্তমানে বিশ্বের প্রথম দশজন মেধাবী প্রধানমন্ত্রীদের একজন। এছাড়া তিনি কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সাধুবাদ জানান। উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেকের নিজের জমিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। এতে করে উৎপাদন খরচ যেমন কমে যাবে তেমনি বেশি বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ স.ম. আশরাফ আলী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন খাদ্যে সয়ম্ভরতা এবং সেই সাথে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য আধুনিক কলাকৌশলের ব্যবহার বাড়ছে এবং আরও বাড়াতে হবে। কৃষির ব্যাপকতা দিন দিন বাড়ছে। শুধু উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয় পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। অন্যান্য বক্তারা বলেন প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট হারে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ছে। বর্ধিত জনগোষ্টিকে খাওয়াতে হলে বেশি বেশি উৎপাদন ছাড়া উপায় নাই। আর উৎপাদন বাড়াতে দরকার নতুন নতুন আধুনিক প্রযুক্তি এবং মাঠ পর্যায়ে তার যথাযথ ব্যবহার। টানা পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তির জীবন্ত নমুনা উপস্থাপন করে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ কৃষি তথ্য সার্ভিস এর সহায়তায় কৃষি বিষয়ক ডকু ড্রামা প্রদর্শণ করা হয়। মেলার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার। সমাপনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।