কৃষি সম্প্রসারণে উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক তিন সেবার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। রাজধানীর খামারবাড়ি আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা যে জমি পেয়েছিলাম আজকে কিন্তু কৃষির সেই জমি নাই। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর কৃষকের পরিশ্রমে আমরা খাদ্য উৎপাদনে অনেক এগিয়েছি। তিনি বলেন, কৃষকের কোনো সমস্যা হলে তা প্রতিকারের জন্য আমাদের কৃষি অফিসারের কাছে আসে। আমরা চাই মাঠ পর্যায়ে যে অফিসার আছেন তারাও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজে কৃষকদের সেবা দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক বান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শহরের কিছু মানুষকে বিজ্ঞান মনস্ক করছেন তা নয়, এটুআইয়ের মাধ্যমে বাংলার কৃষককে তিনি বিজ্ঞান মনস্ক করছেন। এখানে তার যে দূরদৃষ্টি, চিন্তা তার সফলতা আমাদের দেশের কৃষি ও কৃষক ভোগ বা অনুভব করছে। তিনি উল্লেখ করেন, খাদ্য নিরপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্টে ২০১৫ সালে খাদ্য নিরপত্তায় বাংলাদেশের সফলতা দক্ষিন এশিয়ার মধ্য সর্ব্বোচ্চ। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ রপ্তানীর দেশে পরিণত হয়েছে। ধান উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আমাদের কৃষকদেরও অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। আমাদের কৃষক কিন্তু নিজেই অনেক কিছু উদ্ভাবন করে। তাদের একটা উদ্ভাবনী ও পর্যবেক্ষণ শক্তি আছে। কৃষক তার জমির প্রতিটি পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শেখ ইউসুফ হারুন, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাবভাইজর আনীর চৌধুরী।
উদ্ভাবনী তিন সেবার মধ্য রয়েছে কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, কৃষকের জানালা ও বালাইনাশক নির্দেশিকা। এই তিন উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে কৃষকরা ঘরে বসেই মোবাইল অথবা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ব্যবহার করে ফসল চাষের নানা সমস্যার সমাধান পাবেন। কৃষকের জানালা এর মূল উদ্ভাবক ও পরিকল্পনাকারী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মালেক, বালাইনাশক নির্দেশিকা এর মূল উদ্ভাবক ও পরিকল্পনাকারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকল্প দাস এবং কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা এর মূল উদ্ভাবক ও পরিকল্পনাকারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদৎ হোসাইন সিদ্দিকী