রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-কেআইবিতে দুইদিনব্যাপি এগ্রো ক্যারিয়ার এক্সপো’র উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, এবার উত্তরাঞ্চলে বন্যা না হলে আমাদের খাদ্য ঘাটতি পড়তো না। কারণ ইতোমধ্যে আমরা খাদ্য রফতানি শুরু করেছিলাম। এরপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যারা কৃষিপণ্য আমদানি করবে, সরকার তাদের নগদ ২০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দিবে। কেননা কৃষিছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণে এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে তত্ত্বাবধায়ক আর সরকার আলোর মুখ দেখবে না। নির্বাচন হবে সরকারের অধীনে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করা হবে। আর সেই নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। তবে বিএনপি নির্বাচনে না দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে চেয়েছিলো বিএনপি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। আর ২০১৫ সালে ৯৩ দিন হরতাল দিয়ে অর্থনীতিকে পণ্ড করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। এমনকি যারা একসময় বাংলাদেশকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলতেন, বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন একটি ঝুঁড়ি, তারাই এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে কথা বলছেন। এখানেই বুঝতে হবে বাংলাদেশ কতোটা এগিয়ে গেছে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সরকার মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। স্বাধীনতার সময় ১ কোটি বাঙালি ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। আমরা জানি সেটা কতটা কষ্টকর। আর সেই মানবিক বিষয় বিবেচনা করেই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তবে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতেই হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.কামাল উদ্দিন আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, কৃষিবিদ সমীর চন্দ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি এ এম এম সালেহ ও মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স।
উল্লেখ্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে এই ক্যারিয়ার মেলার আয়োজন করে যুক্তরাজ্য সরকার, এসডিজি ও ডানিডার অর্থায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় শীর্ষস্থানীয় কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন ও গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সুইস কন্ট্যাক্ট ক্যাটালিস্ট ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ। দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজারেও বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা। এ ধরনের আয়োজন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞ ও পেশাদারদের দ্বারা সেশন ও চাকরি মেলার আয়োজন থাকবে দুইদিনের এ মেলাটিতে। চাকরিদাতাদের সঙ্গে কৃষিবিষয়ক শিক্ষার্থীরা এক্সপোতে সংশ্লিষ্ট খাতে নিয়ে আলোচনা ও সাক্ষাতের সুযোগ পাবে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে এক্সপোতেই চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা দক্ষ শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে পারবেন।