কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল-এর আয়োজনে ০৮/০৩/২০১৭খ্রিঃ তারিখে অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে আঞ্চলিক কৃষি কারিগরি সমন্বয় কমিটির (RTC) ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের উপ পরিচালক ডাঃ এ, কে, এম মনোয়ার হোসেন। সভায় রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ, কৃষি ও বন বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীবৃন্দ, জন প্রতিনিধি, কৃষক, মৎস্য চাষী, খামারী সহ অন্যান্য সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের উপপরিচালক ও কমিটির সদস্য-সচিব তপন কুমার পাল সভার শুরুতে আঞ্চলিক কৃষি কারিগরি সমন্বয় কমিটির গঠন, কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতির বিষয়ে আলোকপাত করেন। সভায় উপস্থিত সদস্যগণ তাদের স্ব স্ব দপ্তরের চলমান কার্যক্রম, আগামী মৌসুমের কর্মপরিকল্পনা এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নের অন্তরায় সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম সভায় অবহিত করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার উপপরিচালক বৃন্দ বর্তমান মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় এবং রাজস্ব খাতের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে স্থাপিত বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শণীর বিষয়ে সভায় আলোকপাত করেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কাপ্তাই লেকের জলেভাসা জমিতে সময়মত বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা সঠিক সময়ে হ্রাস বৃদ্ধির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি পার্বত্য এলাকার কৃষি তথা কৃষকের অবস্থার টেকসই উন্নয়ন কল্পে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: মুন্সী রাশিদ আহমেদ পার্বত্য এলাকায় নতুন নতুন প্রযুক্তি বিশেষ করে আমের ব্যাগিং, ফল বাগানে মৌ বা∙ স্থাপন, বিটি বেগুন, কফি চাষ পরিক্ষামূলকভাবে সম্প্রসারণের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: মোহাম্মদ মহীউদ্দিন নতুন নতুন উচ্চফলনশীল ফসল চাষের এলাকা বাড়ার ফলে স্থানীয় জুম চাষ যাতে ব্যহত না হয় সেজন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি প্রাকৃতিক বন ও বন্য প্রতিবেশের যথাসম্ভব ক্ষতি না করে ল্যান্ড জোনিং এর আওতায় এলাকা ভিত্তিক উপযোগী ফসল চাষের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম হারুন-অর-রশিদ বলেন পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনের তুলনায় জনবলের ঘাটতি রয়েছে। কৃষি সেবা কার্যকরভাবে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছানোর জন্য তিনি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয় বৃদ্ধির ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। তাছাড়া সভায় পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএডিসি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এর প্রতিনিধিবৃন্দ কৃষি উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।