Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd ডিসেম্বর ২০১৬

খুলনার দৌলতপুরে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2016-12-22

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফসল উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: নুরুজ্জামান বলেছেন, বীজই হলো ফসল উৎপাদনের মূল চাবিকাঠি।ফসল উৎপাদনের জন্য মাটি,আবহাওয়া,মানুষ,পানি সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। পরিচালক গত ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় খুলনার দৌলতপুরস্থ ‍ডিএই অডিটরিয়ামে চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর ১ম সংশোধনীর বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা র্শীষক আঞ্চলিক কর্মশালা ২০১৬-১৭ উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

পরিচালক বলেন, দেশে ১১৭টি ফসলের আবাদ হয়। দেশের বীজের চাহিদার মাত্র শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বিএডিসি সরবরাহ করে থাকে। বাকি ৬০ থেকে ৮০ ভাগ বীজ চাষি নিজে বিভিন্ন মাধমে সংগ্রহ করে থাকেন।ফলে ফসল উৎপদনে কাংখিত ফলন পাওয়া যায় না।এ কারনেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষক,কৃষি সম্প্রসারণ ও সংশ্লিষ্ট গবেষনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করে দ্রুত চাষি পর্যয়ে এলাকাভিত্তিক লাগসই নতুন জাত সম্প্রসারনের লক্ষে এ প্রকল্প চালু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যপী এ কর্মশালায় প্রকল্পের লক্ষ্য,উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ সরোয়ার জাহান বলেন, দেশের সকল উপজেলায় এ প্রকল্প চালু থাকার কারনে স্থানীয় পর্যয়ে কৃষক ভিত্তি বীজ পাচ্ছে এবং উৎপাদনের জন্য যে প্রযুক্তি দরকার তা এ প্রকল্প থেকে সরবরাহ করার ফলে কৃষক দারুনভাবে উপকৃত হচ্ছে।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষক পর্যয়ে ভিত্তি বীজ চালু করতে পারলে এ প্রকল্প সার্থক হবে। কর্মশালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এলাকা ভিত্তিক লাগসই প্রযুক্তি ও ফসলের জাত নির্বাচন করা,কৃষক পর্যয়ে এ বছর আউশ বীজ সংরক্ষণের পরিস্থিতি, রোপা আমন মৌসুমে মাঠের অবস্থা কেমন ছিল এবং বোরো মৌসুমে কি করনীয় তা জানার উদ্দেশ্যেই বছরে দুইবার এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, খাদ্য উৎপাদনে আমাদের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে তার অবদান এ প্রকল্পের রযেছে।মাঠ পর্যয়ে ফসলের যে জাতের ডিমান্ড রয়েছে তা এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব হবে।তিনি গবেষণা থেকে রিলিজকৃত (অবমুক্ত) সর্বশেষ জাতগুলি চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালকের প্রতি আহবান জানান। অন্যানের মধ্যে প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ সুরজিত সাহা রায় বক্তব্য রাখেন।দিনব্যাপী এ কর্মশালায় খুলনা অঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিএডিসি, এসসিএ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।