কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ জনাব মো. গোলাম মারুফ সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আবাদি এলাকাসহ ও মাঠ পর্যায়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করে গেলেন। তিনি ঝটিকা দুইদিনের সফরে গত শুক্রবার দুপুর ১.০০ টার দিকে বিমান যোগে ওসমানি আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। গত শুক্রবার প্রথমে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার মাঠে বিদ্যমান আউশ আবাদি জমি পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আউশ এলাকা পরিদর্শন করেন। একই দিন বিকেলে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জালালপুর ব্লকে মাল্টা বাগান পরিদর্শন, উপস্থিত কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করে মাধবপুর এলাকায় সজিনার চারা রোপণ ও কৃষাণীদের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ পর্বে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি একটি পেয়ারা বাগান পরিদর্শন শেষে কৃষকদের মাঝে আমন ধানের বীজ বিতরণ করেন। একটি ডোয়ার্ফ নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন এবং উপস্থিত কৃষকদের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। তিনি শনিবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার আউশ আবাদের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে গোয়াইনঘাট উপজেলার নয়াখাল নামক এলাকায় কৃষকদের সাথে আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের মাঠ পরিদর্শনের সময় অঞ্চল ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সাথে ছিলেন। শনিবার সকাল ১১.০০ টার দিকে উপপরিচালক, ডিএই, সিলেট মহোদয়ের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন। তিনি বলেন, বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি নির্মুল করা আমাদের দ্বারা সম্ভব নয় তবে পরিকল্পিত কৃষি ব্যবস্থাপনা যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই সকলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে কৃষি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। আমন মৌসুমের জন্য উঁচু জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজতলা কয়েক দিন পরপর/স্তরে স্তরে তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করেন। মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য মতে দুই চারদিনের মধ্যে পানি সরে গেলে সাম্প্রতিক বন্যায় আউশ আবাদের তেমন বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখন মাঠ পর্যায়ে পোকা মাকড়, রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে বলে সকলকেই এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে মহাপরিচালক মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে ফসলের নিবিড় পরিচর্যায় বিশেষ মনোযোগী হওয়ার আহবান করেন।