বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর সম্মেলন কক্ষে বিটি বেগুন চাষের সাফল্যের ওপর গত ২৮ জুলাই ২০১৫ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেগুনের প্রধান শত্রু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কৃষকরা মাঠপর্যায়ে বিটি বেগুন চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক জনাব রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বিটি বেগুন চাষের সাফল্যের বিভিন্ন দিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, এ বছর সারা দেশে ১৯টি জেলায় ১০৮ জন কৃষকের মাঠে বিটি বেগুনের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়। কোথাও ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি এবং পোকার আক্রমণ না হওয়ায় বেগুনের ফলন বেশি হয়েছে এবং কৃষকরা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। এতে আরও বলা হয়েছে বিটি বেগুনের খাদ্যমান এবং রাসায়নিক উপাদানসমূহ দেশি বিদেশি উন্নত গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এতে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কোন উপাদান পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মানের কোভেন্স ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশের বিটি বেগুনের নমুনা পরীক্ষা করে ননবিটি বেগুনের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি এবং প্রাণিদেহে বিটি বেগুনের কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমানে পৃথিবীর ২৮টি দেশে জিএম ফসলের আবাদ হচ্ছে এবং দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিএম ফসলের বাস্তবতাকে মানব কল্যাণে ব্যবহার এবং বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গ্রহণ করে বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও ক্রমহ্রাসমান আবাদি জমির ঘাটতি মোকাবেলায় কাজ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৩ সালে বিটি বেগুনের ৪টি জাত অবমুক্ত করা হয় এবং বাকি ৫টি জাতের মধ্যে তিনটি জাত এ বছরে অবমুক্ত করার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে বিটি বেগুন চাষের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জনাব আনোয়ার ফারুক, মহাপরিচালক, বীজ উইং এবং অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়।