Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জুন ২০১৬

কৃষিবিদ দিবসের আলোচনা সভা ও কেআইবি কৃষি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহবান: কৃষক যাতে উৎসাহ না হারায়


প্রকাশন তারিখ : 2016-06-20
 
 
কৃষক যাতে উৎসাহ না হারায় সে লক্ষ্যে ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে সংশ্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (২০ জুন ২০১৬) কৃষিবিদ বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে কৃষিবিদ দিবসের আলোচনা সভা ও কেআইবি কৃষি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে কৃষকদের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন, “অনেক সময় কৃষি শ্রমিকের অভাবে জমির ফসল উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই কৃষকরা যাতে উৎসাহ না হারায় সে ব্যাপারে সকলকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কৃষকের মঙ্গলের জন্য ফসল যেমন দরকার, তেমনি ভালো দামও একান্ত প্রয়োজন। চাউলের দাম কম থাকলে আমরা সবাই খুশি থাকি। কিন্তু যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাউল উৎপাদন করে আমরা কী কখনও তাদের কথা ভেবে দেখি। অনেক সময় ধান চাষ করে কৃষক উৎপাদন খরচ উঠাতে পারছে না।
 
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি হাওরের মানুষ। কৃষকের সন্তান। হাওরে এক ফসল হয়। এবার বহু জমি পতিত রয়ে গেছে। সামনের বছর পতিত জমি বেড়ে যাবে। হাওরের কৃষকদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলার চ্যালেঞ্জের বিষয় উল্লেখ করে তিনি  বলেন, “আপনারা জানেন, কৃষির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে প্রতিকূল জলবায়ু সহনশীল শস্যের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর পাশাপাশি কৃষি সহায়ক শিল্প প্রতিষ্ঠাসহ কৃষির বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। কৃষকরা যাতে পরিবর্তিত পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলতে পারে সেজন্য তাদের কৃষি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে হবে। আমাদের কৃষি ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে বাণিজ্যিকীকরণের  দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।  বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া এ রূপান্তরকে আরও বেগবান করছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার কৃষি খাতের উন্নয়নকে প্রভাবিত করছে।
 
রাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি নয়, নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের শেকড়ও বটে। এ প্রসঙ্গে আমি একটি চীনা প্রবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,  জাতীয় উন্নতি ও সম্পদ একটি গাছের ন্যায়। কৃষি তার মূল, শিল্প তার শাখা এবং বাণিজ্য তার পাতা। মূলে ক্ষত দেখা দিলে পাতা ঝরে যায়, শাখা ভেঙ্গে পড়ে এবং গাছ মরে যায়। তাই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কৃষি খাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নিরন্তর প্রয়াস চালাতে হবে।
 
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ  অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পাঁচজন ব্যক্তি ও দুইটি  প্রতিষ্ঠানের হাতে কেআইবি কৃষি পদক ২০১৬ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। পদকপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ও ইনফোটেইনমেন্ট। ব্যক্তিরা হলেন- নাটোরের কৃষক সেলিম রেজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এম মোফাজ্জল হোসেন, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ, সিলেটের কৃষি উদ্যেক্তা আলীমুল এহছান চৌধুরী ও ফরিদুপরের নারী কৃষক আলেয়া বেগম।
 
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের  সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক এমপি,  অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি।  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোবারক আলী।