কৃষকের চাহিদাভিত্তিক কৃষি তথ্য সহজীকরন ও সময়মত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আইসিটির বিকল্প নেই। কৃষি প্রযুক্তি ও কৃষি বিষয়ক ডাটাবেজ তৈরীতে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা সার্বজনীন করার মাধ্যমে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত ই-কৃষির মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা জোরদারকরণ ও ডিজিটাল ডকুমেন্টশন প্রকল্প-এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের যুক্তিসিদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইসিটি উদ্যোগ ও তাদের সুপারিশগুলো অনুসরনের জন্য বলা হয়। কর্মশালায় বক্তাগণ কৃষক ডাটাবেজ তৈরী, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ফসলের ডাটাবেজতৈরী, দুর্যোগকালীন আগাম সতর্কতা, কৃষি উপকরণ সংক্রান্ত তথ্য, আইসিটিভিত্তিক বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, গবেষণা কেন্দ্র হতে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দ্রুততার সাথে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোসহ সামগ্রিক কৃষির বিষয়গুলো একটি জায়গায় নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পণা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান সরদার ইলিয়াস হোসেন; পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান জনাব আজিম চৌধুরি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. মনজুরুল আনোয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইসিটি উইং-এর পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল। আইসিটি নীতিমালা ২০১৫ এর আলোকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ড. নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আমাদের ক্লাউড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইমরান আলী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট (বিড)-এর নির্বাহী প্রধান শহীদ উদ্দিন আকবর এবং এটুআই-এর ইনোভেশন এসোসিয়েট মো. সাখাওয়াতুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও আমাদের ক্লাউড লিমিটেডের আয়োজনে ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ফার্মগেটস্থ আ. কা. মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।