সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এবং জেলা প্রশাসন খুলনার সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত ১৫ দিন ব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষমেলা/২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠান গত ৫ আগষ্ট শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস, বন সংরক্ষক খুলনা সার্কেল আমির হোসাইন চৌধুরী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশির-আল-মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বনায়নকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এক সময় আমাদের দেশে বনভূমীর পরিমান ছিল ৫১ ভাগ। মানুষ, শিল্প, কল-কারখানা বাড়ার ফলে এ বন ভূমির পরিমান অনেক কমে গিয়েছে। বিশ্বের উষ্ণায়ন প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে আরো বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নবিজী নিজ হাতে গাছ লাগিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনায় আমরা খাদ্যে সয়ংসর্ম্পূনতা অর্জন করেছি, এবার আমরা বনায়নেও সমৃদ্ধ হবো। বেশী করে গাছ লাগিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। প্রধান অতিথি নার্সারী মালিক সমিতির অনুরোধের কথা বিবেচনা করে এবারের বৃক্ষমেলা অতিরিক্ত সাত দিন বাড়ানোর ঘোষনা দেন। উল্লেখ্য এবারের বৃক্ষমেলা গত ২২ জুলাই টানা ছয়দিন বৃষ্টিপাতের মধ্যে শুরু হওয়ার ফলে প্রথম সপ্তাহ না জমার কারনে নার্সারী মালিক সমিতির ক্ষতির কথা বিবেচনা বৃক্ষমেলা উদযাপন কমিটি-২০১৭ এ সিন্ধান্ত গ্রহন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি এফ এম বদরুল আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ৩ ক্যাটাগরীতে বৃক্ষমেলার রচনা প্রতিযোগীতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, সেরা নার্সারী এবং মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টল প্রর্দশনকারীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।