মাছ চাষের বৈশিষ্ট্য,
• একক ও মিশ্র উভয় পদ্ধতিতে চাষ করা হয়।
• প্রাকৃতিকভাবে বছরে ২-৩ বার প্রজনন করে থাকে।
• সহজ ব্যবস্থাপনায় চাষ করা যায়।
• যে কোন ছোট জলাশয়ে চাষ করা যায়।
পুকুর নির্বাচন
• জলাশয়টি বন্যামুক্ত হতে হবে।
• পানির গভীরতা ১-১.৫ মিটার হলে ভালো হয়।
• জলাশয়ে আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
প্রস্তুতি, পোনা মজুদ, খাদ্য ও সার প্রয়োগ
• পুকুরের পাড় মেরামত করে শতাংশ প্রতি ১ কেজি চুন ও ৪-৫ কেজি গোবর প্রয়োগ করতে হবে।
• সার প্রয়োগের ৩-৪ দিন পর প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মালে ছোট মাছ ছাড়তে হবে।
• একক চাষের ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ৪০০-৫০০ টি মলা/ঢেলা/পুটির চাষ করা যায়।
• মাছ ছাড়ার পর দিন হতে মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৫-১০% ভাগ হিসাবে চালের কুড়া, গমের ভূষি ও সরিষার খৈল সম্পুরক খাবার হিসেবে দেয়া যেতে পারে।
• প্রাকৃতিক খাবার তৈরীর জন্য ৭ দিন অন্তর অন্তর শতাংশ প্রতি ৫-৬ কেজি গোবর অথবা ২-৩ কেজি হাঁস- মুরগীর বিষ্টা দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ছোট মাছ সংরক্ষণ কৌশল
পুকুরে ছোট মাছকে অবাঞ্ছিত মাছ হিসেবে গণ্য না করে সেগুলোকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও চাষের আওতায় আনতে হবে। জলজ পরিবেশের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছোট মাছের বংশ বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে এর উৎপাদন বাড়াতে হবে।
• স্থানীয়ভাবে প্রাপ্য দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ পুকুরে মজুদ ও সংরক্ষণ করা।
• ছোট মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য পুকুরে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কিছু জলজ আগাছা রাখা।
• জলাশয় বা পুকুর সম্পূর্ণ সেচে সকল মাছ আহরণ না করা ।
• ছোট মাছের প্রজনন মৌসুম (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়) সম্পর্কে সংশিৱষ্ট জনগণকে সচেতন করা এবং সে সময় পুকুরে ছোট ফাঁসের জাল টানা থেকে বিরত থাকা।
• ধানক্ষেতে ছোট প্রজাতির মাছ চাষের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক জলাশয়ে
• বিল, হাওর ও বাওরে অভয়াশ্রম স্থাপন করা।
• ছোট মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস, এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখা।
• জলাশয়ের পানি সেচে মাছ না ধরা।
• ছোট মাছের গুরুত্ব ও এর সংরক্ষণ সম্পর্কে জলাশয়ের আশেপাশের জনগণকে সচেতন করা এবং সংরক্ষণ কাজে সম্পৃক্ত করা।
• মৌসুমী জলাভূমিগুলোর কিছু অংশ খনন করে প্রজননৰম মাছ সংরক্ষণ করা, যাতে তারা বর্ষা মৌসুমে ডিম পাড়তে পারে।