Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ এপ্রিল ২০১৫

পাহাড়ী কৃষি


Hill Farm

ম্যাথ (MATH)  মডেল কী?

 
MATH এর পূর্ণ নাম  Modern Agricultural Tecknology   in The Hi lls. এটি হচ্ছে পাহাড়ী অঞ্চলের উপযোগী চাষাবাদের একটি মডেল।
 
মডেলেরবিশেষত্বকী ?
  • এটি ভূমির ক্ষয়রোধ করে
  • ভূমির উর্বরতা বাড়ায়
  • একই জমিতে উন্নত পদ্বতিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করা যায়
  • পাহাড়ী কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব
  • এই মডেলের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জুম চাষ পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত করা সম্ভব
বাস্তাবয়নকৌশল 
 
ধাপ-১:  জমি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘জুমি’ ফসলগুলো আবাদের ব্যবস্থা করা
 
ধাপ-২:  প্রথম বৃষ্টির পর পরই ‘ম্যাথ’ মডেলের অনুসরণে দ্রুত বর্ধনশীল ফসল যেমন, পেঁপে, কলা; স্বল্প মেয়াদী- পেয়ারা, লেবু, দীর্ঘ মেয়াদী- কাঁঠাল, লিচু, আম, সফেদা, জাম্বুরা, কমলা, জাম ইত্যাদি এবং বনজ গাছ ‘জুম’ ক্ষেতে একই সময়ে রোপন করা
 

ধাপ-৩:  ধান, ভুট্টা, কাউন ও তেল সংগ্রহের পর পাহাড়ের ঢালভেদে ‘জুম’ ক্ষেতের মধ্যে আড়াআড়িভাবে সারিতে ( Strip Cultivation)  আনারস, অড়হর এসব ফসল বপন/রোপণ করা

ধাপ-৪: সময়ভেদে ‘জুমি’ ফসল সংগ্রহের পর পর মৌসুম ভিত্তিক (কচু, ঢেঁড়স, বরবটি, টমেটো, বেগুন, মরিচ) ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা
 
ধাপ-৫: সবজি চাষের পাশাপাশি জমি পরিষ্কার করে ‘আচ্ছাদন ফসল (Cover Coop)’  আবাদ করা
 
ধাপ-৬: ‘ম্যাথ’ এর আওতায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য কৃষক সমিতি গঠন করে Central Procurement  and Distribution Point (CPDP)  এর মাধ্যমে বাজারজাত করা  
 
ধাপ-৭: মৃত্তিকা সস্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক তিন ভাগে বিভক্ত পাহাড়ের ১ম ও ২য় শ্রেণীর পাহাড়ের বেলায় ম্যাথ মডেলটি প্রযোজ্য। অন্যথায় যেখানে ‘জুম’ আছে সেখানেই উক্ত মডেল কার্যকর হবে।
 
‘ম্যাথ’ মডেলের উপকারিতা
  • পাহাড়ী ভূমির সর্বোচ্চ ভূমি নিশ্চিত করা যায়
  • একই জমিতে বহু ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়
  • শস্য পর্যায় ( Coop rotation)  অবলম্বনের মাধ্যমে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ও মাটির ক্ষয়রোধ করে
  • স্থায়ীভাবে বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করা C P D P মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের সমবায় ভিত্তিক বাজারজাতকরণ করা যায়
  • পর্যায়ক্রমে এ মডেল বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ী অঞ্চলে ‘জুম’ চাষ বিলুপ্ত হবে
  • সর্বোপরি পাহাড়ী এলাকায় ফসলের ফলন বৃদ্ধি পাবে মাটির ক্ষয়রোধ  হবে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে।