মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সরকারের কৃষি উন্নয়নের ধারাবহিকতা বজায় রাখতে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের নবীন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে নব নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৬তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বীজ বপন করে গেছেন তার ধারাবাহিকতা ধরেছেন তার কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষি উপকরণ, ভর্তুকিসহ প্রতিকূল পরিবেশে কৃষকদের নানা সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা ও সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে কৃষি উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কৃষি গবেষণায় সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে এখন নানা জাতের নতুন শস্য উদ্ভাবন হচ্ছে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ও কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণার ক্ষেত্রকে আরো শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবীর ইকরামুল হক।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ ৩৬তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের ৩০৪ জন নবীন কর্মকর্তা যোগদান করেন এবং দিনব্যাপি কর্মশালায় অংশ নেন। যোগদান পত্রের সাথে কর্মকর্তাগণ সকল স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণা পত্র ও তিনশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে নিজে বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য যৌতুক নিবেন না এবং যৌতুক দিবেন না মর্মে একটি বন্ড দাখিল করেন। ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন উইং এবং বিভাগীয় কার্যক্রমসহ কর্মকর্তাদের আচরণ বিধিমালা সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়। নতুন কর্মকর্তাগণ আগামী ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পদায়িত নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করবেন। কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করার পাশাপশি সফল সম্প্রসারণ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে আঞ্চলিক পর্যায়ে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।