কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ গোলাম মারুফ বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য টেকসই জৈব কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ প্রয়োজন। দক্ষিণাঞ্চলের পরিবর্তিত লবনাক্ত জলবায়ু পরিস্থিতির বিরুপ পতিক্রিয়া মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে জৈব কৃষি সম্প্রসারণ করতে হবে। এসময়ে তিনি মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে রাসয়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী ও কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান। মহাপরিচালক গত ৭ অক্টোবর বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু জাতিয় কৃষি পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক মোঃ আবু হানিফ মোড়লের জৈব কৃষি খামার পরিদর্শনকালে কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সাথে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় মহা পরিচালক আরও বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষির অগ্রগতিকে দলবদ্বভাবে কাজ করে এগিয়ে নিতে হবে। সোনার দেশের সোনারবাংলা গড়ে তুলতে কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তিনি ডিএই’র তৈরী কৃষক গ্রুপ গুলোকে ভালভাবে কৃষি প্রযুক্তি আয়াত্ব করে কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। মত বিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ডিএই খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এম এম আব্দুর রাজ্জাক, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোছাঃ আতিকুন্নাহার, খর্নিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদারসহ ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের এসএপিপিও, এসএএও ও অধশতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। পরে মহাপরিচালক উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের জিলেরডাঙ্গা গ্রামের ব্রজেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের জমিতে স্থাপিত রাজস্ব খাতের অর্থায়নে হাড়িভাঙ্গা আম প্রদশনী, জিয়া তরফদারের মৎস্য ঘেরে কুল ও সবজি চাষ পরিদর্শন করেন। এর আগে মহাপরিচালক বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট ও ফকিরহাট এবং খুলনার রূপসা উপজেলার কৃষি কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন। এ ছাড়াও সন্ধায় খুলনা মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস লবনচরার উদ্যেগে স্থাপিত পোকা দমনে আলোক ফাঁদ কর্মসূচী পর্যবেক্ষণ করেন।