ভাসমান কৃষি নিরাপদ খাবারের অন্যতম উৎস। যেহেতু পুষ্টি ও ভেজালহীন খাদ্য উৎপাদন বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার। তা পূরণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যেই ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন দরকার অন্য ফসলের দিকে বেশি নজর দেওয়া। তাহলে ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরাও হতে পারবো অংশীদার। ২৯ ফেব্রুয়ারি বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির ওপর এক কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব জনাব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল ওহাব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. নাজিরুল ইসলাম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনার অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিমুর রহমান, নাজিরপুরের কৃষক মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সে সাথে বানারীপাড়া, উজিরপুর, নেছারাবাদ ও নাজিরপুর হতে আসা শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি একই ক্যাম্পাসে ভাসমান কৃষি বিষয়ক গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শীর্ষক বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন।