বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্রে, খাগড়াছড়ি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল এর আয়োজনে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এসআরএসডি প্রকল্পের অর্থায়নে ও প্রকল্পের আওতায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলে ”বিনা উদ্ভাবিত সম্প্রসারণযোগ্য প্রযুক্তিসমূহের পরিচিতি, সম্প্রসারণ কৌশল ও চাষাবাদ পদ্ধতি” র্শীষক দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, রাইখালী, রাঙ্গামাটি এর প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ আবদুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব, পিপিবি অধিশাখা, কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক(প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) বিনা, ময়মনসিংহ , বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ প্রনব ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল। বিনা উপকেন্দ্র খাগড়াছড়ি এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুশান চৌহান এর স্ঞ্চালনায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠের মধ্য দিয়ে কর্মশালার শুরু হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে সূচনা বক্তব্য রাখেন ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। টেকনিক্যাল সেশনে ”বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের জাত সম্প্রসারণযোগ্য প্রযুক্তিসমূহের পরিচিতি, সম্প্রসারণ কৌশল ও চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোঃ আবদুর রউফ অতিরিক্ত সচিব মহোদয় বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল আয়োতনে দেশের মোট আয়োতনের ১০ শতাংশ। এই পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হয়ে আসছে বহুকাল ধরে। পার্বত্য অঞ্চলের চাষ উপযোগী বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের চাষ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ করতে উপস্থিত সকলকে আহ্ববান জানান । সভাপতি ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী মহোদয় বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশেসহ সারা বিশ্বে প্রায় জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই আমাদের জলবায়ু সহনশীল বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ু সহনশীল বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনের দায়িত্ব দিয়েছে। বিনা উদ্ভাবিত অনেক জাত উচ্চফলনশীল, জিঙ্কসমৃদ্ধ, স্বল্প জীবনকাল, খরা সহনশীল। তাই আপনারা বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত আবাদ ও সম্প্রসারণ করাবেন। আমাদের খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে। তাই বিনা’র বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনে আমরা আলাদা পুষ্টি যোগ করিতেছি। যাতে মানুষের খাদ্য চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা উভয়ে মিটতে পারে । পার্বত্য অঞ্চলের চাষ উপযোগী বিভিন্ন ফসলের বিভিন্ন জাতের উপর গবেষণা কাজ চলছে । সারা দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার জেলা, উপজেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।