রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে শেষ হলো তিনদিন ব্যাপি জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৮। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ডিএই’র খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আয়োজনে প্রথমবারের মতো এই মেলার সমাপনী দিন ছিল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের সময় সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিলো। তখনো খাবারের অভাব ছিলো। এখন ১৭ কোটি মানুষ হলেও পেট ভরে খেতে পাচ্ছে। কৃষির সফলতা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি আর বলেন, প্রতি বছর আমাদের জমি কমছে। শ্রমিক সংকট দেখা দিচ্ছে। এজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আমাদের যেতে হবে। কৃষকের জন্য সহজলভ্য, ছোট কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিটি কৃষকের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা ঠিক রাখতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
কেআইবির থ্রি-ডি হলে প্রধান অতিথি মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন। স্টলের যথার্থতা, প্রদর্শিত প্রযুক্তির সংখ্যা, প্রযুক্তি উপস্থাপনের মান, যন্ত্রের সংখ্যা, সাজসজ্জার মান উপস্থাপন করে জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৮ এ অংশগ্রহনকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই মটরস লিমিটেড। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে দি মেটাল (প্রা:) লিমিটেড ও আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং। পুরষ্কার হিসেবে ছিলো ক্রেষ্ট ও সনদ। মেলায় অংশগ্রহনকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। মেলায় মোট ২১টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য‘ কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে, অর্থ-শ্রম-সময় বাঁচবে’ প্রতিপাদ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিলো জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৮।