মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মিঠাপুকুর রংপুর এর আয়োজনে দিনব্যাপী কৃষি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুর অঞ্চল, রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সরওয়ারুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মিঠাপুকুর, রংপুর এর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, ড. মুহঃ রেজাউল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন যে, রংপুর অঞ্চলের ৫ টি জেলার প্রতিটি উপজেলার ১ টি করে ইউনিয়নে এ রকম কৃষি উৎসবের আয়োজন করায় যা এ অঞ্চলের কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কৃষিজীবীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, শুধু রংপুর অঞ্চলে নয় সারা দেশব্যাপি এই দিনে প্রতিটি উপজেলার ১ টি ইউনিয়নে কৃষি উৎসব আয়োজন করা গেলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গতিশীলতা আনায়নের পাশিপাশি কৃষকরা দারুনভাবে উৎসাহিত হবে। কৃষি উৎসবে প্রচুর কৃষক-কৃষানীীর সমাগম ঘটে। উক্ত উৎসবে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিভিন্ন স্টল তথা নিরাপদ সবজি কর্নার, বিভিন্ন ফলের কলম তৈরী, ইদুর দমনের কৌশল ও বিভিন্ন ফাঁদ, বসতবাড়িতে সবজি চাষ, বেগুন, বাধাকপি, ফুলকপি সীমসহ বিভিন্ন সবজি ও আমে ফেরমোন ফাঁদের ব্যবহার, আলোক ফাঁদ, আদর্শ ভেজা ও শুকনা বীজতলা, পলিথিন আবৃত বীজতলা, লাইন-লোগো ও পার্চিং,আইপিএম ও আইসিএম স্টল, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি তথা কম্বাইন্ড হারভেষ্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ফুটপাম্প, ট্রাক্টর, বিভিন্ন পেষ্টিসাইড কোম্পানীর জৈব বালাইনাশক ও বীজের স্টল, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট এর অনলাইন সার সুপারিশ ও মাটি পরীক্ষা এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস এর স্টলসহ অন্যান্য স্টল থেকে কৃষক/কৃষানীগণ কৃষি প্রযুক্তি সর্ম্পকে সম্যক ধারণা লাভ করেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি স্টলের পাশাপাশি গ্রামীন কৃষকদের নিজেদের কুটির শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রীর স্টল কৃষি উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। তার পাশাপাশি কৃষি উৎসবে বিভিন্ন ধরণের খাবার দোকানের সমাবেশ ঘটে। এতে করে আরোও আনন্দঘন উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কৃষি উৎসবে উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় কৃষক-কৃষানীগণ সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে এবং সামান্য পুরষ্কার তাদের সম্মান এবং আতœমর্যাদা অনেক গুন বেড়ে যায় বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। কৃষি উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পী ও কৃষকদের পরিবেশিত গান, নৃত্য ও নাটিকা উপস্থিত সকলে মনোমুগ্ধ করে। কৃষক-কৃষানীগণ প্রথম বারের মতো কৃষি উৎসবে আনন্দময় উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি অতিবাহিত করেন। কৃষি উৎসব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভাবমুর্তিকে দারুনভাবে কৃষক/কৃষানী তথা উপস্থিত সুধিজনের কাছে সমাদৃত করেছে।