মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকায় পিতা মাতার সাথে বসবাস করেন। মনিরুজ্জামান মনির বিএ পাশ করে চাকুরীর জন্য বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে থাকে কিন্তু চাকুরীর কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় নিরাস হয়ে পড়েন। এমন সময় মনিরুজ্জামান মনি এর গ্রামের এলাকার উপসহকারী কৃষি অফিসার ডিঃ কৃষিবিদ অতনু সরকারের সাথে দেখা এবং দুজনের মধ্যে কথা বিনিময় হয়। মনিরুজ্জামান মনির তার বেকার জীবনের কথা অতনু সরকারের নিকট বলে এবং সমাধানের কোন ব্যবন্থা আছে কিনা জানতে চান।অতনু সরকার মনিরুজ্জামান মনির এর জমিজমা ও আর্থিক অবস্থা জেনে তাঁকে উন্নত প্রযুক্তিতে কিছু কৃষি কাজ করার পরামর্শ দেন।
কথানুযায়ী মনিরুজ্জামান মনির গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ তৌফিকুর রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় ও ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকারের পরামর্শ অনুসারে যে সকল মাঝারী উঁচু জমিতে কেবল মাত্র রোপা আমন আবাদ হতো এমন জমিতে ২০১৫ সালে স্ট্রবেরী ১৬ বিঘা আবাদ করে সমস্ত খরচ বাদে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লাভ করেন।এতে করে তাঁর আয়ের পথ খুলে যায়। এরপর এসএএও এর পরামর্শ অনুযায়ী একুই বছর মাচাই তরমুজ ১০ বিঘা আবাদ করে লাভ করেন প্রায় ২ লক্ষ টাকা, থাই পেয়ারার জন্য জমি লিজ নিয়ে ৪০ বিঘা আবাদ করে খরচ বাদে লাভ করেন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা, আলু বীজ ৯ বিঘা আবাদ করে লাভ করেন প্রয়ি ১ লক্ষ টাকা। তিনি পরের বছর ১৪ বিঘা জমিতে মাচাই টমেটো আবাদ করেন কিন্তু সেখানে তিনি লাভ করতে পারেন নি, তবে ঔষধ ছাড়া গাছ পাকা টমেটো বিক্রি করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০১৬ সালে মনিরুজ্জামান মনির কৃষি কাজের স্বীকৃতি হিসাবে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক লাভ করেন এবং এলাকার মানুষের দৃষ্টি নন্দিত হন।বর্তমানে মনিরুজ্জামান মনির কৃষি কাজে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে বিরল ভুমিকা রেখেছেন। মনিরুজ্জামান মনির এর নিকট তাঁর এই সাফল্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় আমি এতদুর আসতে পেরেছি এবং ভবিষতে তাদের সহযোগিতায় পেলে আমি তো বটে,আমার মত অনেক হতাশা গ্রস্থ বেকার শিক্ষিত কৃষক জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে আর্থিক ভাবে সফলতা লাভ করবে বলে আশাবাদি।