Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাঙ্গামাটিতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষের প্রযুক্তি’ শীর্ষক মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2018-09-20

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার বগাপাড়া গ্রামে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (KGF) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রকল্প অফিস, রাঙ্গামাটি এর আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষের প্রযুক্তি’ শীর্ষক মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড.এবিএম মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী। বিএসআরআই, রাঙ্গামাটি উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ কৃষিবিদ ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী তার বক্তব্যে আখের সাথে রিলে ফসল বা সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য লাভজনক ফসলের চাষ বাড়ানোর ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের আরো সহযোগিতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আখ চাষিদের জন্য স্বল্প সুদে ঋনের নিশ্চয়তা এবং পাহাড়ী এলাকায় সেচের সীমাবদ্ধতার কারনে খরা সহনশীল জাতের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক বিধায় পার্বত্য অঞ্চলে আখ চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আখ চাষকে আরো লাভজনক করার জন্য বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আখের সাথে বিভিন্ন সাথী ফসল চাষের প্রযুক্তি তেমনই একটি সম্ভাসনাময় প্রযুক্তি। এ অঞ্চলের কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে আখ চাষের পরিধি বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। সভায় সভাপতি ড.এবিএম মফিজুর রহমান বলেন প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় পার্বত্য এলাকায় চাষ উপযোগী আখের জাত ও লাভজনক চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে এ এলাকায় আখের সাথে বিভিন্ন সাথী ফসল যেমন রাইশাক, মূলা, মিষ্টিআলু, ফরাস সীম, গাজর ইত্যাদির চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তিটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত আখ, আখজাত পন্য ও অন্যান্য সাথী ফসল সময়মত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য তিনি সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ এবং উপস্থিত কৃষকরা প্রদর্শণী আখ ক্ষেত ঘুরে দেখেন। এ সময় এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও মিডিয়ার প্রতিনিধি ও শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।