জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রিলে পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৭’র চাষাবাদ কলাকৌশলের ওপর এক মাঠ দিবস সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পাবনার আয়োজনে গত ২০ জানুয়ারি উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল হতেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের বিভিন্ন জেলার বরেণ্য বিজ্ঞানীরা মাঠ দিবস উপলক্ষে হিজুলিয়া গ্রামের মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন, কৃষক কিষাণী এবং বিজ্ঞানীদের পদচারনায় হিজুলিয়া গ্রাম যেন একটি মিলন মেলায় পরিনত হয়।
ঢাকা গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আ সা ম মাহবুবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ। মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরদীস্থ ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড.মুহাম্মদ হোসেন, বিএডিসি টেবুনিয়া বীজ প্রক্রিয়াজাত করণ কেন্দ্রর যুগ্ন পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল হালিম এবং পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতি:উপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো.আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরেজমিন গবেষনা বিভাগ, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পাবনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো.শফিকুল ইসলাম ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ড.আবুল কালাম আযাদ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের বৈজ্ঞানীরা স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট উচ্চ ফলনশীল এবং রোগবালাই প্রতিরোধী বারি সরিষা-১৭ উদ্ভাবন করে দেশের জনগনের তেলের চাহিদা পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এজাতের সরিষা আবাদ সম্প্রসারণ করে উপস্থিত সকল কৃষক কিষানীদের লাভবান হতে উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। তিনি তার ইনষ্টিটিউট হতে বিজ্ঞানীদের ২শত ৮টি জাত উদ্ভাবন এবং ৯শত ৫০টি কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথাও গর্বকরে বলেন। অন্যদের মধ্যে সরিষা আবাদ কারী চাষী আশরাফুল আলম এবং কিষানী জেসমিন আরা বেগম বলেন, মাঠে রোপা আমন ধান কাটার ৮-১০ দিন আগে এ জাতের সরিষা ধানের মধ্যেই ছিটিয়ে দেই, সরিষা কাটার পর আমরা অনায়াসে রোবা আবাদ করতে পারবো। বাড়তি এই সময়টুকু বারি সরিষা-১৭ আবাদ করে বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা ঘরে তোলা যায় সহজে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. আক্কাজ আলী, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.আক্তার হোসেন, রাজশাহী কৃষিগবেষণা ইনষ্টিটিউটের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো জাহিদুল ইসলাম, বগুড়া কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো.শহিদুল আলম, কুষ্টিয়া কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা জাহান আল মাহমুদ, পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মাসুমবিল্লা, পাবনা কৃষি তথ্য সার্ভিসের সহকারী তথ্য অফিসার এটিএম ফজলুল করিম, পাবনা কৃষি গবেষাণা কেন্দ্রর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. রবিউল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, ঈশ্বরদী কৃষি গবেষাণা ইনষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ মোস্থফা জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা যথাক্রমে ড.মো.আব্দুর রউফ, ড, মো. রফিউদ্দিন, ড.মো.আলতাফ হোসেন সহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
এর আগে বিজ্ঞানী বৃন্দ আবাদকৃত প্রদর্শনীর প্লটের বারি সরিষা-১৭ জাতটি নিয়ে কৃষকদের সাথে মত বিনিময় করেন। বিকালে অনুরুপ একটি মাঠ দিবস ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্র এবং পাবনা সরেজমিন গবেষণার বিভাগের আয়োজনে চাটমোহর উপজেলার মূল গ্রামে বারি মটর-৩ জাতের আবাদ সম্প্রসারণের ওপর অনুষ্ঠিত হয়।