বরিশালের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মন্ত্রণালয়ের আটটি প্রতিষ্ঠানের বারোটি স্টল মিলে একটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। সমন্বিত কৃষিস্টলে স্থান পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর মধ্যে সর্জান পদ্ধতিতে খাটো জাতের নারিকেলবাগান, ভাসমান কৃষি, ছাদবাগানের মডেল, কম্বাইন হারভেস্টারসহ অন্যন্য অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, ফসলের জাত ও রোগপোকা পরিচিতি, হাতের ছোঁয়ায় তথ্য সেবা (কিয়স্ক), ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার অন্যতম। এছাড়া সন্ধ্যায় কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সাফল্যসহ অন্যান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কৃষিপ্যাভিলিয়নের দৃশ্যমান প্রযুক্তিগুলো দেখে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির আধুনিক ছোঁয়া চাষির দ¦ারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে- এসব কথা মেলায় আগত অনেক দর্শক মন্তব্য করেন। প্যাভিলিয়নের সমন্বয়কারি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কোনো জীবন্ত কর্মকান্ড তুলে ধরার জন্য মেলাই হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আমরাও অংশ নিয়েছি। বর্তমান সরকার কৃষতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। একথা সর্বস্বীকৃত। যে কারণে বাংলাদেশের কৃষি এখন অনেক উন্নত। আর এসব সফলতা স্বশরীরে দেখানো এবং দর্শনার্থীদের মাধ্যমে জনগণকে জানানদেয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্যে। আশা করি এর মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে। কৃষক সম্পদশালী হবে। দেশ হবে সমৃদ্ধ। উল্লেখ্য, গত বছরের উন্নয়ন মেলায় কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। তাদের এবারের আয়োজন আরো প্রসারিত। বরিশালের এ মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (সচিব) আবু হেনা মো. রহমাতুল মনিম। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. ইমামুল হক, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মেলায় সরকারি-বেসরকারি দেড় শতাধিক স্টল স্থান পায়।