রংপুর অঞ্চলে বোরো ধান পরিপক্ক হওয়ার বেশ আগেই ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট অঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় বোরো ধান পরিপক্ক হয়ে উঠে। বিশেষ করে হাওড় এলাকায় ধান আগে পাকে। তাই প্রতি বছরই এ সময় রংপুর অঞ্চল থেকে প্রায় ২০-২৫ হাজার কৃষি শ্রমিক ধান কাটতে যায় ঐসব এলাকায়। ধান কাটা শেষ হলে আবার রংপুর অঞ্চলে এসে ধান কাটে।
মহাদুর্যোগ করোনার প্রভাবে কৃষি শ্রমিকদের অবাধ যাতায়াত বাঁধাগ্রস্ত হয়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষিবান্ধব মাননীয় মন্ত্রী কৃষি শ্রমিকদের নিরাপদ যাতায়াত সুনিশ্চিতকরণে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই অংশ হিসেবে ১৯ এপ্রিল, বরিবার সন্ধ্যার পরেই দুটি বাসে ৬৬ জনের তালিকাভুক্ত কৃষি শ্রমিক দল রওয়ানা হয়েছে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এর উদ্দেশ্যে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী, রংপুর জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সারওয়ারুর হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জানান প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধান কর্তনের জন্য শ্রমিকের চাহিদা আছে এমন এলাকায় কৃষি শ্রমিকদের নিরাপদে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার কৃষি শ্রমিকদের একটি দল প্রেরণ করা হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায়। তারা ধান কাটা শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা জেলাসমুহ থেকে আরোও কৃষি শ্রমিক পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে দু’টি হার্ভেস্টার রংপুর অঞ্চল থেকে গিয়ে হাওড়ে ধান কাটা শুরু করেছে। আরও একটি হার্ভেস্টার শীঘ্রই পৌঁছে যাবে হাওড়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ্য শ্রমিকদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, শুকনো খাবার ইত্যাদি উপহারসামগ্রী প্রদান করেই কৃষি শ্রমিকদের পাঠানো হয়। শ্রমিক পরিবহনে সহায়তা সার্বিক সহায়তা করেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, এমপি ও গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রমিক সংগ্রহে সক্রিয় সহযোগিতা করেন।