৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে খামারবাড়িস্থ আ.ক.মু গিয়াসউদ্দিন মিলকি অডিটরিয়ামে এনহান্সিং আরবান হর্টিকালচার প্রোডাকশন টু ইম্প্রুভ ফুড অ্যান্ড নিউট্রেশন প্রজেক্টের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কর্তৃক ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০ জন ছাদবাগান মালিককে প্রশিক্ষণ এবং ২৫০টি ছাদবাগান স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুল গার্ডেনিং, হাউজ ওনার, মালি প্রশিক্ষণ এবং অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপন অন্যতম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন ইট, কাঠ, পাথরের নাগরিক একঘেয়েমী জীবনের মাঝে স্থাপিত ছাদবাগান খানিকটা হলেও ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল গার্ডেন স্থাপনে সংযুক্ত থেকে প্রকৃতিকে ভালবাসতে ও চিনতে পেরেছে এবং তাদের মাঝে সুকুমার বৃত্তি গড়ে উঠেছে। যা ভবিষ্যতে আলোকিত সমাজ গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এফএও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ত থেকে নানাবিধ কৃষি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদন করে আসছে।
বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও অধিকাংশ মানুষই এখনো পরিমিত মাত্রায় নিরাপদ ফল ও সবজী গ্রহণ করছেন না। এ প্রকল্প থেকে সংশ্লিষ্ট সম্মানিত হাউজ ওনারগণ নিরাপদ ফল ও সবজী গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশবাসী এখন বেশ স্বাস্থ্য সচেতন, তাই নিরাপদ সবজী ও ফল উৎপাদনের কোন বিকল্প নাই। ভবিষ্যতে ছাদ বাগান স্থাপনের ওপর গবেষণার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, উপাচার্য, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এ্যাসিসটেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. নূর আহমেদ খন্দকার। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, হাউসওনার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং ছাদবাগান স্থাপনকারী প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।