বারি উদ্ভাবিত উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের প্রযুক্তি হস্তান্তর শীর্ষক এক কৃষক মাঠদিবস ০৭ মার্চ পটুয়াখালীর লেবুখালীস্থ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ।
চাষিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে প্রায় ২০ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজকের ১৬ কোটিরও অধিক মানুষের দেশে দানাশস্যে উদ্বৃত্ত। ভবিষ্যত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে সব ধরনের খাবারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। এ জন্য দরকার ফসলের উন্নত জাত সম্প্রসারণ। পাশাপাশি কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার। সে লক্ষে সরকার কাজ করছে। এখন প্রয়োজন আপনাদের এগিয়ে আসা। আর তা মাঠে বাস্তবায়ন হলেই আমরা শতভাগ সফল হবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম. এ. মালেক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইফতেখার মাহমুদের সঞ্চালনার অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার, পিএসও ড. মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, এসও. নাসিরা আক্তার, মো. নজরুল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
জোয়ার-ভাটাপ্রবণ দক্ষিণাঞ্চলের পতিত জমিতে উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের উপযোগিতা যাচাইপূর্বক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতাধীন এ মাঠদিবসে ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
ছবি: অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ