বোরো মৌসুমকে সফলভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সমম্মিলিত ভাবে জেলার ২শ’ জন প্রগতিশীল কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ (ব্রিধান-৬৩ ও ব্রিধান-৭১) বিতরণ করে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো.জহির রায়হানের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশস্থ আর্ন্তজাতিক ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. লুৎফুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ এবং সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ইবাদত হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কৃষির অগ্রযাত্রায় ভালবীজের গুরুত্ব অপরিসীম, তিনি বলেন, কৃষি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। প্রাকৃতিক বৈরিতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ দেশের কৃষি হয়ে উঠেছে উন্নয়নের এক রোল মডেল। কৃষি এখন শুধু মুখে ভাতে নয়, এটা বানিজ্যিক কৃষি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। সবচেয়ে গৌরবজনক শিল্পের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিনি বীজ গ্রহন কারী চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রকে পরাভূত করে আপনারা এদেশের ন্যাশনাল হিরো নামে অখ্যায়িত হয়েছেন। সঠিক পদ্ধতিতে যত্নের সাথে প্রযুক্তির সংমিশ্রন করে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তি যোদ্ধা আজগর আলী, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম হোসেন।