Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd মার্চ ২০২০

জয়পুরহাট সদরে বারি বিটি বেগুন-৪ চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস


প্রকাশন তারিখ : 2020-03-15

জয়পুরহাট সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের অর্থায়ন ও আয়োজনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রবি মৌসুমের স্থাপিত নতুন জাতের বিটি বেগুন চাষের ফলন উৎপাদন ও এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্প্রসারণে প্রদর্শন উপলক্ষে পুরানাপৈল ব্লকের পারবাট্রা গ্রামের কৃষক পূর্ন্ন চন্দ্র মোহন্ত এর জমিতে ১৫ মার্চ রবিবার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: খোরশেদ আলম সৈকত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জয়পুরহাট খামারবাড়ি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ এ.কে.এম সাদিকুল ইসলাম (উদ্যান), সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কায়ছার ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা অমল চন্দ্রর মন্ডল,অনান্যা উপহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কাছার ইকবাল, নতুন জাতের বিটি বেগুন পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে ব্যাপক সফলতা এসেছে। বিশেষ করে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন করতে পারবে না ফলে রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক যেমনি প্রয়োজন হবে না তেমনি ভাবে চাষীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। নতুন উদ্ভাবিত কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউট গবেষকগণ পোকামাকড় বিরোধী এক প্রকার জিন নতুন বারি বিটি বেগুনের জাতে সংযুক্ত করায় ফল ছিদ্রকারী পোকা আক্রমন করে না। জন্য এ জাতের বেগুন চাষীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রধান অতিথি বলেন, কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউটের বিষেজ্ঞগণ ব্যাপক গবেষনা চালিয়ে নতুন জাতের বারি বিটি বেগুন উদ্ভাবন করেছেন। মূলত পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা ও কীটনাশক ব্যবহার না করে বিটি বেগুন চাষ করা সম্ভব। গবেষনায় দেখা যায় উক্ত নতুন জাতের বেগুন চাষে ফল ছিদ্রকারী পোকা আক্রমন করতে পারে না। জয়পুরহাট সদরে নতুন জাতের উদ্ভাবিত নতুন জাতের বারি বিটি বেগুন-৪ চাষ করে অধিক ফলন উৎপাদন করতে সক্ষম হবে চাষীরা। মূলত বেগুনে পোকা মাকড়ের আক্রমন বেশি হয় আর কীটনাশক বেশি ব্যবহার করতে হয় । কিন্তু বিটি বেগুন চাষে ফল ছিদ্রকারী পোকা আক্রমন করতে পারে না এতে করে এ বেগুনে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমনের জন্য কীট নাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।

কৃষক পূর্ন্ন চন্দ্র মোহন্ত বলেন,কৃষি বিভাগের পরামর্শে উদ্বুদ্ব হয়ে তিনি নতুন জাতের বেগুন চাষ করে বেশ সফল। তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অন্যান্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ রোপন পদ্ধতি, পরিচর্যা, রোগ বালাইয় প্রতিরোধ, ফলন উৎপাদন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এছাড়াও  বিভিন্ন সময় বিনামূলে সার, বীজ সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সামগ্রী প্রদান করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অধিক ফলন উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভেবান হওয়ার জন্য নতুন জাতের উদ্ভাবিত বিটি বেগুন চাষ করার জন্য চাষীদেরকে আহবান জানান। অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: ইনসান আলী।