Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ August ২০১৮

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সুন্দরবনে ১০ বছরের জন্য গাছ কাটা নিষিদ্ধ করেছিলেন --- মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন


প্রকাশন তারিখ : 2018-08-08

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুন্দরবন আমাদের গর্ব। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ বছরের জন্য সুন্দরবনে গাছ কাটা নিসিদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরবনে আশ্রয় নিতেন। সুন্দরবন দেশের সম্পদ- এর সর্ব্বোত্তম ব্যবহার করে পর্যটন ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এ বছর ৩০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানিয়েছেন। সে লক্ষে দেশবাসিকে ১টি ফলজ, ১টি বনজ ও ১টি ওষুধি গাছ রোপণের অনুরোধ করেছেন। মেয়র গত ৪ আগস্ট শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ সম্মত নগরায়নে নগরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে। গাছ শুধু অক্সিজেন দেয় না বরং পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধনে ভূমিকা রাখে। মানুষের দিন দিন গাছের প্রতি ভালবাসা জন্মাচ্ছে। প্রতি বছর বৃক্ষ রোপণের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি উন্নতমানের চারা/কলম এর মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে পরিবেশ সম্মত দেশ গড়তে ভূমিকা রাখার জন্য নার্সারী মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তৃতাকালে তিনি নগর পিতাকে সবুজ নগরী গড়ে তুলতে নগরবাসিকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষনা করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, উপ বন সংরক্ষক, খুলনা সার্কেল মোঃ মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা কৃষিবিদ হাসান ওয়ারেসুল কবীর। স্বাগত বক্তব্য কালে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, ১৫ দিন ব্যাপী এ মেলায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক গাছ বিক্রয় হয়েছে যার মূল্য ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশী গাছ বিক্রয় হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা করতে বেশী বেশী করে গাছ লাগাতে নগরবাসিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদরুর আলম রয়েল। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় সুন্দবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ মেলার আয়োজন করে। এবারের মেলায় ২৭টি নার্সারী অংশগ্রহন করে। তম্মধ্যে রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের রানা নার্সারী ১ম, খুলনা খামারবাড়ির পাশে অবস্থিত করিম নার্সারী ২য় এবং নগরীর বয়রা বাজারের মালিহা নার্সারী ৩য় স্থান অধিকার করে। এছাড়া স্কুল/কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃক্ষরোপণের উপর চিত্রাংঙ্কন, কবিতা ও কুইজ প্রতিযোগীদের মাঝেও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। নার্সারী মালিকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মেলার সময়সীমা ৩দিন বর্ধিত করেন মেলা আয়োজকগণ।