মৌ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। ইতিমধ্যে অনেক বেকার যুবক মৌচাষ করে ঘুরিয়েছে জীবনের চাকা। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবে মান সম্মত মধু উৎপাদন করতে পারছে না মৌচাষীরা। পাচ্ছেন না ভাল দাম। প্রয়োজন কৃষক ও চাষীদের মাঝে সচেতনতা। ফসলের মাঠে উন্নত পদ্ধতিতে মানসম্মত মধু উৎপাদনে ফসলের যেমন ফলন বাড়ে, তেমনি মধু সংগ্রহের কাঠের বাক্সের পরিবর্তে প্লাস্টিক কেনে মধু সংগ্রহ এখন মৌচাষীদের মৌলিক দাবী । গত ২৮ ডিসেম্বর চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “টেকসই কৃষি উন্নয়নে মৌচাষ” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব মত ব্যক্ত করেন বক্তারা। পাবনা মৌচাষী সমবায় সমিতি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার যৌথ আয়োজনে এবং চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল, পেয়াজ বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কামিটির সভাপতি আলহাজ্ব মকবূল হোসেন। তিনি বলেন, মৌচাষীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এর সাথে প্রয়োজন রয়েছে অর্থের। কৃষকদের মাঝেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। মৌচাষে কি কি প্রতিবন্ধকতা আছে তা খুঁজে বের করে সুপারিশমালা তৈরী করতে হবে। যেটা সংসদে উপস্থাপনের মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি গাছে চাক বাধা বড় মাছিকে কিভাবে বশ করে খাঁচা বন্দি করে মৌচাষ বাড়ানো যায় সেই প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকাস্থ চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল , পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইহ্নটিটিউট এর মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার । অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন কৃষি বিভাগের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মতিউর রহমান, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার ও মৌচাষী আমিনুর রহমান। কর্মশালায় মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাবনা মৌচাষী সমবায় সমিতি ও উত্তরবঙ্গ মৌচাষী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। কর্মশালায় পাবনা, সিরাজগঞ্জ , বগুড়া ও নাটোর জেলার শতাধিক মৌচাষী অংশ নেন।