‘আর নয় বিদেশী তেল, নিজ দেশে ইউৎপাদ নকরে খেলে হবে অনেক বল’। সত্যিই এ উদ্দিপনা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারন-প্রতিবছর ২৭ হাজার কোটি টাকার তেল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়।এতে বিশাল অংকের টাকা আমাদের দেশ থেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে।
আমদানীকৃত তেলের সাথে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থও যুক্ত থাকার কারণে এসব তেল খেয়ে আমরা নানা প্রকার রোগে ভুগছি।বিজ্ঞানীরা বলেন- প্রতিদিন আমাদেরকে ২০-২২ গ্রাম তেল খেতে হয়, অথচ উৎপাদনের অভাবে আমরা গড়ে খেতে পারছি মাত্র ১০ গ্রামের ও কম। খাবারের সাথে পরিমিত তেল না খেলে মানব দেহে চর্ম রোগ হয়।পরিমিত তেল না খেলে মানুষকে বিভিন্ন প্রকার অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রমন করে। বিশেষ করে মানব দেহে ফ্যাটি এসিডের প্রয়োজন হয়।
আর এ ফ্যাটি এসিড একমাত্র তেলের মধ্যেই বেশী পরিমানে থাকে।সার্বিক বিষয় হতে উত্তরনের জন্য এবং তেল জাতীয় ফসল দেশের চাহিদা অনুযায়ী কৃষরা যেন চাষ করে সে লক্ষে এবং কৃষকের লাভজন কৃষি কার্যক্রমের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবন করেছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি সূর্য্যমুখী-৩, বারি তিশি (নীলা),বারি সরিষা-১৭। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট,সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লা এর আয়োজনে, বাংলাদেশে তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণাএবংউন্নয়ন প্রকল্প এর অর্থায়নে, ১৫/০২/২০২০ তারিখে, তিতাস কলাকান্দি ব্লকে, বারি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৪, বারি সূর্য্যমুখী-৩, বারি তিশি (নীলা) এর প্রচারও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক সমাবেশ ও মাঠদিবস পালন করা হয় এবং একই দিনে বুড়িচং পারুয়া ব্লকে বারি বিটি বেগুন-২ এর প্রদর্শণী প্লটপরিদর্শন করা হয়।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব, পিপিসি উইং, কৃষি মন্ত্রণালয়। সভাপতিত্ব করেন-ড. মো. আককাস আলী, সিএসও, সগবি, বিএআরআই, জয়দেবপুর, গাজীপুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-ড. মো. আব্দুল ওহাব, মহা পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর; কৃষিবিদ মো. আলী আহম্মদ, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চল; ড. মো. আবদুল লতিফ আকন্দ, সিএসও, তৈগকে, বিএআরআই, জয়দেবপুর, গাজীপুর; ড. মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, কুমিল্লা; ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; কৃষিবিদ সুরজিৎ চন্দ্র দত্ত, উপপরিচালক, ডিএই, কুমিল্লা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ শ্যামল কুমার ভাওয়াল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।