নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা/২০১৮ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান “অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা” প্রতিবাদ্যকে ধারণ করে মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: মোবারক হোসেন এর সভাপত্বিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকিত করেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মো: ছলিম উদ্দিন তরফদার এম পি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো: আব্দুস সাত্তার নান্নু।
শুরুতে সুধিবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে খাদ্য পুষ্টি, আবাসন, দারিদ্র বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তায় ফলদ ও বনজ বৃক্ষের উপকারিতা বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম মফিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্ষা সিক্ত শ্রাবনের ¯িœদ্ধ নির্মল পরিবেশে অধিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ দেশী ফল গাছ রোপন ও বৃক্ষরোপন কর্মসুচীকে সফল করার লক্ষ্যে হাজারো বৃক্ষের চারা-কলমের বিপুল সমারোহ ঘটানোই হলো মেলার প্রধান লক্ষ্য। মেলায় বৃক্ষের চারা উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি ও ভালমানের চারা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। তাই তিনি সকল নার্সারী মালিকদের উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা এবং দর্শনাথীদের অন্তত ৩টি করে ফলদ,বনজ ও ঔষধী বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপন করার অনুরোধ জানান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, ফলদ ও বনজ বৃক্ষের অবদান কম-বেশী আমরা সবাই অবগত। মনুষ্য জীবনের মৌলিক চাহিদার অংশগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্য ভাবে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ থেকে আমরা ভোগ করে থাকি। কাজেই দেশ তথা জাতির স্বার্থে কৃষক শ্রমিক ছাত্র-ছাত্রী, আবাল-বৃদ্ধ জনতাকে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করে যেকোন সুবিধাজনক স্থানে বেশী বেশী করে বৃক্ষ রোপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল ব্যাক্তিবর্গকে এ মৌসুমে মেলা প্রাঙ্গন কিংবা যে কোন নার্সারী থেকে কমপক্ষে ৩ টি করে চারা সংগ্রহ করে রোপনের জন্য বিনীত ভাবে আহবান জানান।
সভাপতি বলেন, ফলই বল, ফলই শক্তি। সুস্থ্য-সবল বলিষ্ঠ ও কর্মক্ষম এবং মেধা শক্তি সম্পন্ন জীবন-যাপনের জন্য পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ দেশী ফল বেশী করে খেতে হবে। এজন্য বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির দেশী ফলের চারা বেশী বেশী লাগাতে লাগাতে হবে। তিনি সরকারি/বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারী মালিকদের চারা উৎপাদনের জন্য অনুরোধ জানান।
৩ দিন ব্যাপী মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারীসহ মোট ২১ টি স্টল অংশ গ্রহন করে। উদ্বোধনীর শুরুতে এম পি মহোদয়ের নেতৃত্বে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী ছাড়াও প্রায় ৬৫০ জন কৃষক/ কিষাণী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: তৌফিক আল জুবায়ের।