গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চত্বরে ১০০০ জন কৃষকের মাঝে খরিপ-১ মৌসুমে উফসী আউশ এবং নেরিকা ধান চাষে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এক হাজার জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় মাননীয় সাংসদ সদস্য (বগুড়া-১) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসাঃ সাহাদারা মান্নান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রতুল চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জিয়াউল করিম এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল আলম, এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়র সহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় প্রতিনিধি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আর আনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলম ।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আউশ আবাদ বৃদ্ধি করলে খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখা সম্ভব। এছাড়া আউশ আবাদের ফলে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা যায় ফলে মূল্যবান ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমে। তিনি আরোও বলেন আউশ আবাদ বৃদ্ধি করলে চাল রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। তিনি কৃষকদের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি কাজ করার জন্য আহবান জানান। তিনি আরোও বলেন, তিন দফা সারের মূল্য কমিয়ে তা আজ কৃষকের নাগালে। দেশে এখন কোথাও সারের কৃত্রিম সংকট নেই। কৃষকের হাতের নাগালে রয়েছে বীজ, সার, কীটনাশকের মতো কৃষি উপকরণ ।
বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি পূর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় চলতি আউশ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে উফশী আউশ ধান চাষে ১ বিঘার জমির জন্য ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং সেচ ও আগাছা দমন বাবদ ৫০০ টাকা এবং নেরিকার জন্য ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং সেচ বাবদ ৫০০ টাকা ও আগাছা দমন বাবদ ৫০০ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়ছে। আর এক হাজার জন কৃষকদরে মধ্যে ৬২০ জন চাষী উফশী আউশ এবং ৩৮০ জন চাষী নরেকিা সহায়তা পেয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সালাহ উদ্দিন সরদার। আর অনুষ্ঠানে কৃষক মিডিয়াকর্মী এবং কৃষিবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমকর্তা-কর্মচারী সহ প্রায় ১২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।