Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাগেরহাটের ফকিরহাটে হাজার দানার ফাতেমা ধানের শস্য কর্তন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2018-09-17

হাজার দানার ফাতেমা ধান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্ভুদ্ধ করণের মাধ্যমে চাষকৃত আউশ ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সকাল ১১টায় ফকিকরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পিলজংগ গ্রামে হাজার দানার ফাতেমা ধান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে চাষকৃত আউশ ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রগতিশীল চাষী ও গাবখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামানের জমিতে চাষকৃত আউশ মৌসুমে ফাতেমা ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, খুলনা নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ বাগেরহাট মোঃ আফতাব উদ্দিন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এম ফেরদৌস জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নড়াইল, মোঃ হাফিজুর রহমান জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার বাগেরহাট, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকবর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ দৌলতপুর, খুলনা ড.মোঃ হারুন-অর রশিদ, উপপরিচালক বীজ বিপনন বিএডিসি খুলনা মোঃ লিয়াকত হোসেন, জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা বাগেরহাট দীপক কুমার রায়, ধান গবেষনা বেনেপোতা সাতক্ষীরা সঞ্জয় কুমার দেব শর্মা।

নমুনা শস্য কর্তনের পর পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত ও মুল বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাছরুল মিল্লাত। তিনি বলেন, ফাতেমা একজন মহিয়সী নারী। ফাতেমা ধানে ১০০০ এর উপর একটি শীষে দানা পাওয়া গেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশ ফাতেমা ধান ছড়িয়ে পড়ুক। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ফাতেমা ধান ভূমিকা রাখবে। চাষী মনিরুজ্জামান বলেন, হাজার দানার ফাতেমা ধান বোরো মৌসুমের ধান হলেও কৌতূহল নিয়ে আউশ মৌসুমে চাষ করেছি। কৃষির নতুন কিছু পেলেই সেটা বাস্তবে রুপ দিতে চেষ্টা করি। ৩৫ বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কৃষি কাজ করছি।

 

মাসকাটা ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ কুমার জানান, ফাতেমা বেগমের ২ ছড়া ধান সংগ্রহে তার ছেলে লেবুয়াত মিয়া প্রথমে ১ শতক জমিতে পরবর্তী বছরে ৪৬ শতকে চাষ করে বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫০০ জন চাষীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে যা আগামী বোরো মৌসুমে চাষ করা হবে।

 

বিশেষ অতিথি উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ বাগেরহাট মোঃ আফতাব উদ্দীন বলেছেন, ফাতেমা গর্বিত মহিলা। যিনি বাগেরহাটের নাম দেশ সহ বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফাতেমা ধান আউশ, আমন, বোরো মৌসুমে চাষ সম্প্রসারণের কার্যক্রম চলছে। হাজার দানার ধান ফাতেমা ধানের ফলন সারা বিশ্বের ভিতর সবচেয়ে বেশি। বোরোতে প্রতিটি ছড়ায় ১২০০, আউশে ৬২০টি ধান পাওয়া গেছে। ধান গবেষনায় ফাতেমা ধান জাত হিসাবে স্বীকৃতি পাক এটা আমাদের কামনা।

 

প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক বলেছেন, ধান গবেষনা থেকে একটা জাত স্বীকৃতি পেতে ১০-১২ বছর সময় লাগে। তিনি জাতটি পরিক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য ধান গবেষণাকে অনুরোধ করেছেন। শস্য কর্তনে হেক্টরে ৩.০৮ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেছে যা বোরোতে ৭.৫ থেকে ৮ মেট্রিকটন ফলন পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে বোরো মৌসুমে হাজার দানার ফাতেমা ধান প্রধান অতিথি চাষের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস খুলনা সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সহ শতাধিক চাষী শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।