কৃষক পর্যায়ে আউশ ধানের বীজ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সোমবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘রবি মৌসুমে মাঠের চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও জেলার সার্বিক কৃষি পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আউশ ধানের বীজ উৎপাদন বাড়োনোর জন্য সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়ে কৃষি সচিব বলেন, দেশের চাহিদার ৬০ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধানের বীজের মধ্যে বিএডিসি উৎপাদন করে ২০ হাজার মেট্রিক টন। বাকী বীজ কৃষক পর্যায়ে উৎপাদন করা দরকার। কৃষকের উৎপাদিত বীজের গুনগতমান বজায় রাখতে ডিএই’র মাধ্যমে তাদেরকে নিবন্ধিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আউশ ধান অল্প সময়ে সেচ ছাড়াই উৎপাদন করা যায়। এ বছর আউশ ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৭ লাখ মেট্রিক টন । এ বছর আউশ আবাদের জমির পরিমান ও ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বোরো মৌসুমে অকাল বন্যার ক্ষয়ক্ষতি আউশ আবাদ করে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, মানিকমিয়া এভিনিউতে নিরাপদ ও অর্গানিক শাকসবজির মার্কেট জরুরীভাবে স্থাপন করতে হবে। এলাকাভিত্তিক অর্গানিক শাকসবজি উৎপাদন করে ঢাকায় সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানী করা দরকার। এ ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাবে। এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং বিএডিসিকে সমন্বিতভাবে সবজির উন্নত বিপনন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমিদাভ দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল উইংয়ের পরিচালকরাসহ অঞ্চল ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।