মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তিবায়িত প্রদর্শনীর পেঁয়াজ তাহেরপুরী জাতের প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক মাঠ দিবস সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে ১১ ফ্রেরূয়ারী অনুষ্ঠিত হয়।
পেঁয়াজ ফসলের আধুনিক জাত পরিচিতি, রোগ বালাই ও পরিচর্যা এবং পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করাই ছিল মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। উক্ত মাঠ দিবসে সদর উপজেলার রবিপুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য মো. অসীম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপরস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাসরিন পারভীন, সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এস এম সালে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাসরিন পারভিন স্বাগত বক্তব্যে তাহেরপুরী পঁয়াজ জাতটির বৈশিষ্ট, জীবনকাল ও চাষাবাদ সর্ম্পকে আলোচনা করেন। পেঁয়াজ জাতটি রবি ও খরিপ মৌসুমে চাষ করা যায়। খরিপ মৌসুমে চাষের জন্য জুলাই-আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) ও রবি মৌসুমে চাষের জন্য ফেব্রুয়ারী-মার্চ (মাঘ-ফাল্গুন) মাসে বীজ তলায় বীজ বপন করতে হয়। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠ দিবসের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষক-কৃষানীদের সচেতন করা হচ্ছে এবং পেঁয়াজ ফলন হওয়ায় যথাসময়ে রবি শস্যের আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ বলেন, তাহেরপুরী পেঁয়াজ জাতটির জীবন কাল ৮৫-৯০ দিন হওয়ায় কৃষকদের জন্য রবি মৌসুমে এর চাষ খুবই উপযোগী। তিনি আরো বলেন, বৈশিষ্ঠগত কারনে এক কন্দ বিশিষ্ট আকর্ষনীয় লাল রঙের কলসাকৃতির পেয়াজ হয়ে থাকে, ফলের ওজন ৪০-৪৫ গ্রাম ও তীব্র ঝাঝযুক্ত এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষন করা যায় এবং ফলন হেক্টর প্রতি ১২-১৫ টন। ফলন আশাব্যঞ্জক হওয়ায় কৃষকের জন্য এ জাতের পেঁয়াজ চাষ খুবই লাভজনক বলে উপস্থিত কৃষক-কিষানীদের এর আবাদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের আগে মো: অসীম মিয়া এর পেঁয়াজ (তাহেরপুরী) জাত প্রদর্শনী প্লটের আগত চাষীদের দেখানো হয় । আগত চাষীদের সকলেই এ জাতটি আবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং দ্রুত বীজ সরবরাহের আবেদন জানান। অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানটি সঞ্চলনা করেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছ: লায়লাতুল ফেরদৌস।