বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে দিকেই দেশ পরিচালনা করছেন। কৃষিতে পরিবর্তন আসলে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে, এটাই সত্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এমপি ২৭ জানুয়ারি সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রংপুর অঞ্চলের সকল সংস্থা এবং দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
মত বিনিময় সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আবুল কালাম আযাদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির প্রমূখ। আলোচনার শুরুতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম অঞ্চলের কৃষির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন।
মাননীয় কৃষিমন্ত্রী উপস্থিত সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও পরিবর্তিত জলবায়ু সহিষ্ণু জাত সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে তিনি গবেষকদের কৃষকের চাহিদা মোতাবেক নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে তাগিদ প্রদান করেন। পাতকুয়ার মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির উচ্চতা ঠিক রেখে সেচ প্রদানের প্রযুক্তি বিস্তারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ধানের পাশাপাশি উদ্যান ফসল আবাদ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন দেশে কাঁচা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোড়কে বা প্যাকেটে বিক্রয় করা হয়। এজন্য তিনি জাতীয় ফল কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করার উদ্যোগ গ্রহণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোহিতা কামনা করেন। ভবিষ্যতে দানাদার শস্য উৎপাদনে ভুট্টা দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এজন্য তিনি ভুট্টা আবাদ বৃদ্ধির ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। ভুট্টার দানা মানুষ, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার ভুট্টা গাছের কান্ড বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করে বর্ষাকালে গো-খাদ্যের অভাবের সময় এটিকে ব্যবহার করা যায়। এ সময় মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বর্তমান মাঠ ফসল বিশেষ করে নির্বিঘ্নে বোরো ধান আবাদ করার লক্ষে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।