কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষকদলসহ তদন্ত টিম টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে
ঢাকা, ০১ মে ২০২০
বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাসফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।
অতিসম্প্রতি ঘাসফড়িং সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। আজ সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক পৃথক টিম রওয়ানা দিয়েছে। ঘাসফড়িং সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকার শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক আজ জানান যে, গতকাল কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মারা যায়। সেখানে আর কোন জীবিত পোকা নেই বলেও তিনি জানান।
এই পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পোকা মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল জাতীয় কোন পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
হাওরের ৭৭% ধান কর্তন শেষ হয়েছে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে ইতোমধ্যে হাওরের প্রায় ৭৭% বোরো ধান কর্তন শেষ হয়েছে। পাকা অবস্থায় রয়েছে ১০% এবং এখনে পাকে নাই ১৩% বোরো ধান। এছাড়া, সারাদেশে ১৬% বোরো ধান কর্তন শেষ হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি। কৃষি মন্ত্রণালয়
ধন্যবাদান্তে
মো: কামরুল ইসলাম ভূইয়া, তথ্য অফিসার, ০১৬৭২৮৯৭৭৮৯