বাংলার কৃষির সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। হাইব্রিডের কারণে আমরা এখন সারা বছর সবজি পাচ্ছি। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রবিবার (১৫ জুলাই ২০১৮) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর গাবতলী মিরপুর খামারস্থ বীজ ভবনে বীজআলু হিমাগার, গ্রিন হাউজ, সেন্ট্রাল টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও বৃক্ষরোপণ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষকদের জন্য ব্যাংক ঋণ সহজ করেছি, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুবিধা পাচ্ছে। বীজ ও সারসহ কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিএডিসিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। কৃষির উন্নতিকল্পে সরকার বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি না করে যে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমরা গ্রহণ করবো। হাইব্রিডের পাশাপাশি এখন আমরা জেনিটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও) প্রযুক্তির ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এফএও কর্তৃক সেরেস পদক লাভ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক এমপি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃতির দেশে পরিণত হয়। আমাদের বিশ্বাস বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিকমানের বীজ উৎপাদন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদৃল্লাহ্ বলেন, উন্নতমানের বীজ ব্যবহারে ফলন শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। একক ফসল হিসেবে ধানের পরে আলুর অবস্থান। আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের। বিএডিসি’র টিস্যুকালচার ও মলিকুলার ল্যাব স্থাপনের ফলে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের পাশাপাশি আলু রপ্তানিতে আমাদের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে হলে আমাদের কৃষির প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
অতিথিগণ দেশীয় ফলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে বিএডিসি’র বৃক্ষরোপণ উৎসবের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে মো. নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ, বিএডিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।