পাবনায় দিনব্যাপী কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযো শক্তিশারীকরণ প্রকল্পের আওতায় “কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আধুনকি কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকরে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বাস্তব জ্ঞান অর্জনে কর্মশালা/ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। এর ধারাবহিকতায় কৃষি তথ্য সেবা কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আঞ্চলিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিষেশজ্ঞ, কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যালয়,পাবনা কর্তৃক আয়োজিত “কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার” বিষয়ের ওপর দিনব্যাপী কর্মশালা ১৯ ডিসেম্বর পাবনাস্থ খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপপরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক মো. আজাহার আলী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আ.ক.ম. শাহরীয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশারীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত সুধীজনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের সার্বিক চলমান উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ও কর্মশালার “কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার” বিষয়ের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। দিনপ্যাপী কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে সময়োপযোগী কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ের ওপর কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আ.ক.ম. শাহরীয়ার, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) কৃষিবিদ ড. সমজিৎ কুমার পাল, পাবনা সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোষ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদীর পরিচালক ড.মো.রইছ উদ্দীন, বগুড়া অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ কামাল উদ্দীন তালুকদার, পাবনার কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিষেশজ্ঞ প্রশান্ত কুমার সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ জাহিদ আ.ক.ম. শাহরীয়ার বলেন, দিন ব্যাপী কর্মশালায় বিজ্ঞানী , গবেষক এবং সম্প্রসারণবিদদের আলোচনা সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য কৃষি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তার স্বার্থে কৃষির সকল শাখার নিরাপদ ফল-সবজী উৎপাদন ও শষ্যের উন্নত জাত ও কলাকৌশল কৃষকের মাঠে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পরিবেশবান্ধব টেকসই লাভজনক কৃষি উৎপাদন বিষয়ে কৃষকদের প্িরশক্ষণ প্রয়োজন। আর প্রকল্পটির উদ্দশ্যে হচ্ছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত আধুনকি কৃষি তথ্য প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং এর মাধ্যমে কৃষকরে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা।
সভাপতির বক্তব্যে উপপরিচালক মো. আজাহার আলী বলেন, কৃষক মাঠে ফসল উৎপাদনে কতটা আধুনকি কলাকৌশল ও প্রযুক্তি সহায়তা নিচ্ছে বা পাচ্ছে তার ওপর কথা বলেন। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি এখন মোটেও যথেষ্টে নয়। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টেকসই কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কৃষকের দৈনিন্দন জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে আধুনিক কৃষি যান্ত্রকীকরণ ও সেচ ব্যবস্থাপনা জোরদারের আহবান জানান।
কর্মশালায় বগুড়া অঞ্চলের ৪টি জেলার কৃষি বিভাগীয় উপ-পরিচালকগণ,জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপ পরিচালক, পাবনা ও সিরজগঞ্জ জেলার উপজেলা কৃষি অফিসারবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পাবনার কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্মকর্তাবৃন্দ, পাবানার সাংবাদিকবৃন্দ এর প্রতিনিধি এবং পাবনা জেলার কৃষক প্রতিনিধি প্রগতিশীল কৃষক, জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষক,এআইসিসি সদস্যসহ ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন। আর উক্ত কর্মশালার আর্থিক বন্ধবস্ত করে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশারীকরণ প্রকল্প, কষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা। সমগ্র কর্মশালায় সঞ্চলনায় দয়িত্ব পালন করেন পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.এ মাসুম বিল্লাহ।