Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মার্চ ২০২০

ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র খ্যাত নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলছে উন্নত কৃষি প্রযুক্তিতে চাষাবাদের মহোৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2020-03-09


উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার মধ্যে নওগাঁ জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমানে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই গত কয়েক বছর যাবত নিয়ামতপুর উপজেলা খাদ্যে উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে।


নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী বোরো ধানের আবাদ হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে কারণ ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯৮ ভাগ ধান রোপন করা হয়েছে। নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪৪,৯৯৩ হেক্টর আয়তনের ২,৪৮,৩৫১ জন জনসংখ্যার অধ্যষিত এলাকায় ৩৫,৩৪৪ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। যেখানে এবছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০,৩৩৫ হেক্টর তন্মর্ধে এপর্যন্ত ধান রোপন করা হয়েছে ১৯,৯৭০ হেক্টর, তবে লক্ষ্যনীয় বোরো বীজতলা ১,০১৭ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১,৩০০ হেক্টর। কৃষি অফিস সুত্রে আরো জানা যায়, রবি মৌসুমে ৩,৯০০ হেক্টর জমিতে গম, ৬১৫ হেক্টর শাক-সবজি এবং ১৩৭০ হেক্টর আলুর আবাদ হয়েছে আবার মসল্লা ফসলের আবাদ হয়েছে ৩৬৫ হেক্টর, ডাল ফসলের আবাদ হয়েছে ২০ হেক্টর এবং সরিষার আবাদ ৪২৪০ হেক্টর। এছাড়াও ভুট্টা চাষ কম হলেও ৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির আব্দুল্লাহ মো: ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ধান, গম, আলু, ভুট্টা, শাক-সবজি, মসল্লা, তেল ও ডাল ফসলের পাশাপাশি স্ব-উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে প্রায় ৯৫০ হেক্টর আম বাগান এবং ১৬৫ হেক্টর মিশ্র ফল বাগান স্থাপিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ২৪ টি ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় ব্লক পর্যায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষন পদ্ধতি, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার, জীবন্ত পাচিং, বাদামী গাছ ফড়িং সনাক্তকরণ ও দমন ব্যবস্থা, কম্পোষ্ট সার তৈরী, সারিতে চারা রোপন ইত্যাদি বিষয়ে এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

 

আবার প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও কৃষকদের উদ্বদ্ধকরণের মাধ্যমে শতভাগ পার্চিং করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং কৃষককুল নতুন নতুন ধ্যান ধারনা গ্রহনের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়ন ও ফসলের ভাল ফলন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন