আউশ ধানের আবাদকে সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আউশ মৌসুমে পানির সহজলভ্যতা থাকে। এ সময় ফটোপিরিয়ড বেশি পাওয়া যায়। তাই অল্প খরচে বেশি পরিমাণে আউশ ধান উৎপাদন সম্ভব। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮) রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আউশ এবং আমন উৎপাদনকে বাড়াতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। আমাদের দেশে পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বরেন্দ্র এলাকায় যখন নির্বিচারে ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিলো তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি। ফলে এখন পানির স্তর ধীরে ধীরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সেজন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর জোর তাগিদও দেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বড় বড় বিজ্ঞানি কিংবা অর্থ-সম্পদ থাকলেও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সঠিক নির্দেশনা না থাকলে দেশ এগুতে পারে না। শেখ হাসিনার সরকার কৃষিতে বিভিন্ন সময় ভর্তুকি ও কৃষি উপকরণ কৃষকের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ায় চাল উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসংম্পূর্ণ। কৃষিতে বিশ্বের কাছে আমরা একটি প্রশংসার জায়গায় পৌঁছে গেছি। আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে দেশের কৃষিবিদরা।
এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, হাইব্রিড নিয়ে দেশের এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ সমালোচনা করে আসছিলো। কিন্তু আমরা হাইব্রিডের কারণে অসময়ে লাউ, শিম, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি খেতে পারছি। সেজন্য বিজ্ঞানকে সাহিত্যের দৃষ্টিতে না দেখে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলেই মঙ্গল।
জাতীয় এমিরিটাস সাইন্টিস্ট কাজী এম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলী আকবর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের সহ-সভাপতি আনওয়ারুল কাদের শেখ। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমিনউদ্দিন মৃধা।
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১১টি কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, ৭ জন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও ৭জন কৃষককে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ক্রেস্ট অব মেরিট প্রদান করা হয়।