কৃষি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের ২.৮ মিলিয়ন হেক্টর উপকূলীয় এলাকায় সারা বছর একটি মাত্র ফসল আমনের আবাদ হয়। বছরের অন্যান্য সময় এ বিশাল এ অঞ্চল পতিত পড়ে থাকে।
দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা র্দীঘদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহনশীল নানা জাতের ধান ও অন্যান্য ফসলের জাত ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। উপকূলীয় এলাকায় ফসল উৎপাদনে প্রধান সমস্যা হলো লবণাক্ততা ও সেচের পানির সমস্যা। এ অঞ্চলের অধিকাংশ খাল পলি পড়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, এসব খালগুলিকে পুনঃখননের মাধ্যমে মিষ্টি পানির প্রবাহ ও বৃস্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে সব ধরনের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়ানো সম্ভব হবে।
মন্ত্রী ১২ মার্চ সকাল ১১টায় খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাংগা ইউনিয়নের মশামারি গ্রামে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে বারি’র বিভিন্ন রবি ফসলের গবেষণা কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতাদানকালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, দিনে দিনে কৃষি জমি কমে আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দূরদর্শিতার কারণে কম জমিতে আধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষে একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। তার এই সদুরপ্রসারী দূরদর্শিতার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূন হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। গবেষণার কার্যক্রম শুধুমাত্র গবেষণার মাঠে না রেখে কৃষকের মাঠে নিতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত নানা প্রযুক্তি কৃষকের মাঠে ব্যাপকভাবে প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি সরকারের পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য, কৃষি আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়াতে চলমান নানা কর্মসূচীকে আরো সম্প্রসারণের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল ওহাব এ মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন। প্রযুক্তি পরিচিতি ও স্বাগত বক্তব্য দেন, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আক্কাস আলী। মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন , জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চনন বিশ্বাস এম পি, খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়াম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুল সদস্য মো: হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডু, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপচিালক ড. শাহজাহান কবীর ও এসিআইএআর এর আবাসিক পোগ্রাম ম্যানেজার ড. এরিখ হান্টার।
এর আগে কৃষি মন্ত্রী রবি মৌসুমে বারি স্থাপিত সূর্যমুখী, গম, বার্লি, আলু, পালং শাক ,মুগ এর মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএআরআই, ব্রি, বিনা, এসআরডিআই এর কর্মকর্তবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ , প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।